পার্থপ্রতিম ঘোষ, সন্দেশখালি: শেখ শাহজাহানের (CBI In Sheikh Shahjahan House) বাড়িতে সিবিআই। হেফাজতে পাওয়ার পরেই মাস্টারমাইন্ডের ডেরায় পৌঁছে গেলেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। সরবেড়িয়ায় শেখ শাহজাহানের বাড়িতে হানা। সিআইডির কাছ থেকে হেফাজতে পেয়েই তদন্তে তৎপর সিবিআই।
কী জানা গেল?
দিনদুয়েক আগে, অর্থাৎ গত ৫ মার্চ ইডি আধিকারিকদের ওপর হামলার ঘটনায় সিট খারিজ করে ন্যাজাট এবং বনগাঁ থানায় দায়ের মোট তিনটি এফআইআরের তদন্তভার সিবিআইকে হস্তান্তরের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। একই সঙ্গে ওই নির্দেশ জানানো হয়, শেখ শাহজাহানকেও সিবিআই-এর হাতে হস্তান্তর করতে হবে। সে দিনই বিকেল ৪.৩০টের মধ্য়ে শেখ শাহজাহান ও নথি সিবিআইকে হস্তান্তরের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তাঁকে হেফাজতে পাওয়া মাত্রই সন্দেশখালিতে পৌঁছে গেলেন সিবিআই আধিকারিকরা। পাশাপাশি, বসিরহাট থানায় গিয়ে পুলিশের দায়ের করা স্বতঃপ্রণোদিত মামলার নথিও সংগ্রহ করেছে সিবিআই। এদিনই নিজাম প্যালেসে সিবিআই দফতরে এলেন ইডি-র ডেপুটি ডিরেক্টর। ইডি-র উপর হামলাকাণ্ডে অভিযোগকারী ছিলেন এই ডেপুটি ডিরেক্টর। আসেন জখম ইডি আধিকারিকও। তদন্তে উঠে আসা তথ্য নিজেদের মধ্যে আদানপ্রদান করছে সিবিআই এবং ইডি, সূত্রের খবর এমনই। শেখ শাহজাহানের ফোনের কল ডিটেলস রেকর্ড খতিয়ে দেখা হচ্ছে, এও জানা গিয়েছে সূত্রে। এখন প্রশ্ন, হামলার পর কার সঙ্গে কথা বলেছিলেন শেখ শাহজাহান? সেই বিষয়ে বহু গুরুত্বপর্ণ তথ্য সিডিআরে মিলতে পারে বলে ধারণা তদন্তকারীদের।
আর যা...
বাড়ির পাশাপাশি এদিন শেখ শাহজাহান মার্কেটেও আসেন সিবিআই আধিকারিকরা। গত ৫ জানুয়ারি, এখানে আসার চেষ্টা করেছিলেন ইডি আধিকারিকরা। কিন্তু সে সময় সেখানকার অফিসঘরটি বন্ধ ছিল বলে খবর। এদিন সেই অফিসে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে নিয়ে আসেন সিবিআই আধিকারিকরা, ছবি তোলেন। প্রসঙ্গত, গত ৫ জানুয়ারি তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালাতে গিয়ে দুষ্কৃতী তাণ্ডবের মুখে পড়েন ইডি আধিকারিকরা, এমনই অভিযোগ। ইডি, সিআরপিএফ জওয়ান থেকে সংবাদমাধ্যম, রেহাই পাননি কেউই। এমনকি খবর করতে গিয়ে আক্রান্ত হন এবিপি আনন্দের চিত্রসাংবাদিকও। ভাঙা হয় ক্যামেরা, গাড়ি, মোবাইল ছিনতাই করারও অভিযোগ ওঠে। এবিপি আনন্দর চিত্র সাংবাদিককে তুলে নিয়ে গিয়ে বেধড়ক মারধর দুষ্কৃতীদের মারতে মারতে এলাকাছাড়া করা হয় ইডি আধিকারিক, কেন্দ্রীয় বাহিনীকে। সন্দেশখালিতে দুষ্কৃতী তাণ্ডবে আক্রান্ত ৫ জন ইডি আধিকারিক। তার পর থেকে ঘটনাপ্রবাহ থামেনি। সেই ঘটনার ৫৬তম দিনে গ্রেফতার শেখ শাহজাহান।