সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: সোমবারই দল ছেড়েছেন দমদম ব্যারাকপুর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতি তাপস রায় (Tapas Roy Resignation)। তার পর থেকে ফের প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব (TMC Infighting)? ব্যারাকপুর থেকে অর্জুন সিংহ-কে তৃণমূল প্রার্থী (Arjun Singh Candidature From barrackpore) হিসেবে চাওয়া হচ্ছে না, এই মর্মে জগদ্দল বিধানসভার মামুদপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সাধারণ মানুষের সই সংগ্রহ করে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি পাঠাচ্ছেন বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম। লোকসভা ভোটের আগে এই ছবি তৃণমূলের অস্বস্তি বাড়াতে পারে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। 


বিশদ...
অর্জুন-সোমনাথ 'দ্বন্দ্ব' নতুন নয়। কিন্তু যে ভাবে দমদম ব্যারাকপুর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতি তাপস রায় দল ছাড়ার পর দিনই এই ঘটনা সামনে এল, তাতে নতুন করে চিন্তা বাড়তে পারে। একদিকে জগদ্দল বিধানসভার মামুদপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দাদের থেকে যখন সই সংগ্রহ করা হচ্ছে, তখনই আবার আমডাঙা বিধানসভা জুড়ে অন্য ছবি। সেখানে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা আবার পোস্টার এবং ফ্লেক্স ছড়িয়ে দিয়েছেন, 'অর্জুন সিংহকেই প্রার্থী চাই'। আমডাঙার তৃণমূল বিধায়ক রফিকুর রহমান বলেন, 'মানুষ আবেগ তাড়িত হয়ে এই ধরনের পোস্টার দিয়েছেন। আমি দলকে জানিয়েছি কাকে প্রার্থী হিসেবে চাই।' তবে বিধায়ক থাকাকালীন আমডাঙার মানুষের জন্য প্রচুর কাজ করেছেন, সে কথাও মনে করান তিনি। বীজপুরের তৃণমূল বিধায়ক সুবোধ অধিকারীর গলায় আবার অন্য সুর। বলেন, 'অর্জুন সিংহ আগে ঠিক করুন, কাদের প্রার্থী হবেন? বিজেপির নাকি তৃণমূলের? ২০১৯-এ লোকসভা ভোটে জেতার পর বিজেপি সাংসদ সিংহ হয়ে সাধারণ মানুষ এবং তৃণমূল কর্মীদের উপর অত্যাচার চালিয়েছিলেন। সেই কথা কেউ ভোলেননি। এখন ইঁদুর হয়ে তৃণমূলে ঢুকেছেন।' সব মিলিয়ে তৃণমূলের প্রার্থীতালিকা ঘোষণার আগেই ব্যারাকপুর জুড়ে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চরমে পৌঁছেছে। এই ব্যাপারে কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে চাননি ব্যারাকপুরের সংসদ অর্জুন সিং। জানান,  দলের নির্দেশ ছাড়া কোনও মন্তব্য করবেন না।


কুণাল-সুদীপ দ্বন্দ্ব?
ভোটের মুখে যে ভাবে তৃণমূলের একাধিক শীর্ষস্থানীয় নেতার মধ্যে অশান্তির আবহ তৈরি হচ্ছে, তা চিন্তার কারণ হতে পারে। যেমন, গত কয়েক দিন ধরে তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বারবার কটাক্ষ হানেন কুণাল ঘোষ। তবে গত কাল সন্ধেয় সাংসদের বাড়িতে চায়ের আমন্ত্রণ পেয়েছেন তিনি। বলেন, 'সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় ফোন করেছিলেন, সন্ধে সাতটায় চা খেতে যাব।  অনিচ্ছাকৃত ভুল, অফিসে ডেসপ্যাচ থেকে চিঠি পাঠাতে ভুল হয়েছে। ফোন করে জানিয়েছেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়।' তবে কি দলের দুই অতি পরিচিত ও পুরনো মুখের মধ্যে অশান্তির পরিবেশ কাটাতে উদ্যোগ নিচ্ছে তৃণমূল? 


আরও পড়ুন:বেপরোয়া ট্রাকের ধাক্কায় বাইক থেকে ছিটকে পড়ে নিউটাউনে মৃত্যু মহিলার