সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: বসিরহাটে (Basirhat) ধুন্ধুমার। তৃণমূলের (TMC) দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বিবাদ ঠেকাতে গিয়ে আক্রান্ত হলেন বসিরহাট থানার কনস্টেবল (Constable)। অভিযোগ এমনটাই।
আক্রান্ত বসিরহাট থানার কনস্টেবল
তৃণমূলের ‘বিবাদ’ ঠেকাতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হলেন বসিরহাট থানার কনস্টেবল। তৃণমূলের বৈঠক ঘিরে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বিবাদ, মারামারি হয় বলে অভিযোগ। সেই থেকেই ঝামেলার সূত্রপাত। ঝামেলার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বসিরহাট থানার পুলিশ। তৃণমূলের ‘বিবাদ’ মেটাতে গেলে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। কনস্টেবল প্রভাত সরকারের পিঠে গুলি লাগে। আপাতত বসিরহাট জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই পুলিশ কর্মী। ঘটনায় ২৫ জনকে গ্রেফতার করেছে বসিরহাট থানার পুলিশ।
এখনও পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী আক্রান্ত পুলিশ কনস্টেবলকে বসিরহাট জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে যায়। নামানো হয় র্যাফ। গতকাল সারারাত তল্লাশি চালিয়ে গ্রেফতার করা হয়েছে ২৫ জনকে।
ঘটনার সূত্রপাত নিমদাঁড়িয়া কোদালিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের শাকচূড়া বাজার এলাকায় গতকাল সন্ধ্যার। একটি দলীয় কার্যালয়ের নিয়ে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। সেই সময়ে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বসিরহাট থানার পুলিশ। সেখানে পুলিশ পৌঁছলে কনস্টেবল প্রভাত সরকারকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয়। তাঁর পিঠে গুলি লাগে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু কেন এত বড় গন্ডগোল তা পুলিশের পক্ষ থেকে এখনও স্পষ্ট করে জানানো হয়নি।
অন্যদিকে, গতকালও ফের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগ ওঠে তৃণমূলে। বীরভূমের দুবরাজপুর থানার পদুমা গ্রাম পঞ্চায়েতের বসহরী গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। তাতে দলেরই এক কর্মী আহত (injury) বলে খবর মেলে। স্থানীয় সূত্রে খবর, তৃণমূল কর্মী বিপত্তারণ ভাণ্ডারি-সহ চার জন বাসহরী গ্রাম থেকে ওই পঞ্চায়েতেরই সেকেন্দ্রাপুর গ্রামে যাচ্ছিলেন। পদুমার প্রাক্তন তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি মুকুল মণ্ডলের বাড়িতে অগ্রহায়ণে কালীপুজোর অনুষ্ঠানের জন্য চাঁদা আনতেই তাঁরা বেরিয়েছিলেন বলে খবর। কিন্তু কিছুটা দূরে বসহরী গ্রামেই তাঁদের পথ আটকান পদুমার বর্তমান তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি তরুণ গড়াইয়ের লোকজন, অন্তত তেমনই অভিযোগ। প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ জন লাঠি, রড ও টাঙ্গি নিয়ে তাঁদের উপর চড়াও হয়েছে বলে দাবি। তাঁদের মধ্যে বিপত্তারণ ভাণ্ডারিকে গুরুতর আহত অবস্থায় দুবরাজপুর গ্রামীণ হাসপাতাল নিয়ে এলে চিকিৎসক তাঁকে সিউড়ি সদর হাসপাতালে স্থানান্তরিত করেন।