সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা : উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) সোদপুরের শহিদ কলোনির দুর্গাপুজোয় এবার নতুন চমক। ৩২ কেজি রুপোর গহনায় ও গুজরাটি পোশাকে সুসজ্জিত হয়েছেন মা দুর্গা (Durga Puja 2021)। লক্ষ্মী, গণেশ, সরস্বতী, কার্তিক থেকে অসুর সকলেরই পরনে গুজরাটি ঘাঘরা আর গায়ে রুপোর গয়না। মণ্ডপ থেকে প্রতিমা রূপায়ণ, অভিনব ভাবনা পুজোর থিমেও।


আরও পড়ুন - Durga Puja 2021: মহাপঞ্চমীর সকালেই দর্শনার্থীদের ভিড় জমেছে সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারে । Bangla News


সোদপুরের শহিদ কলোনির দুর্গা প্রতিমা থেকে মণ্ডপ সজ্জায় অভিনবত্বের ছোঁয়া এনেছেন হাবরা মনসাবাড়ি এলাকার বাসিন্দা শিল্পী ইন্দ্রজিৎ পোদ্দার। ৩২ কেজি সোনার গহনায় মুড়ে দেওয়া হয়েছে দেবদেবীদের। পাশাপাশি অভিনবত্ব দেখা গিয়েছে প্রতিমার পোশাকেও। দেবী দুর্গা-সহ তাঁর চার সন্তান এমনকি অসুরের পরনেও রয়েছে গুজরাটি পোশাক। পুজোর থিমে অভিনব ভাবনা প্রসঙ্গে শিল্পী ইন্দ্রজিৎ পোদ্দার বলেন, 'আঃ নন্দ হল এবছরের আমাদের পুজোর থিম। আঃ যেমন কষ্টের বহিঃপ্রকাশ। আবার আনন্দের বহিঃপ্রকাশের আঃ ব্যবহার করা হয়। সারা বিশ্বের মানুষ এখন খুব কষ্টের মধ্যে রয়েছে। এমনিতেই মানুষের বিভিন্ন সমস্যা রয়েছে। তার মধ্যে অতিমারির হানায় বিপর্যস্ত জনজীবন। সেই থেকে মায়ের আগমনে আনন্দে ফেরা। মাতৃ আরাধনার মধ্যে দিয়ে মানুষ আনন্দ খুঁজে নিতে চায়। তাই কষ্ট ও আনন্দের নানা ভাষা, চিত্র ও মডেলের মাধ্যমে সাজিয়ে তোলা হয়েছে মণ্ডপ।'


আরও পড়ুন - Durga Puja 2021: পিংলার পটশিল্পীদের দিয়ে মণ্ডপ সজ্জা, 'বিশেষ সম্মান' দমদম সর্বোদয়া সম্মিলনীকে। Bangla News


৩২ কেজি রুপোর গহনা ব্যবহারের প্রসঙ্গে শিল্পী বলেন, 'বিগত বছরগুলিতে কলকাতা শহরের একাধিক পুজো মণ্ডপে হিরে, সোনা ও রুপো দিয়ে মাতৃ প্রতিমাকে সাজিয়ে তোলা হলেও এবছর হচ্ছে না। তাই এবার স্বল্প পরিসরে রুপোর গহনা দিয়ে মাকে সাজিয়ে দেওয়া হয়েছে।' পাশাপাশি কতদিন ধরে প্রতিমা এবং মণ্ডপ সজ্জার কাজ? প্রসঙ্গে ইন্দ্রজিৎ পোদ্দার জানাচ্ছেন, প্রায় গত আড়াই মাস ধরে পুজোর থিম 'আঃ নন্দ'কে বাস্তবে রূপ দেওয়ার জন্য তাঁর ওয়ার্কশপ চলেছে। প্রতিমা তৈরিতে প্রথমে মাটি ও পরে ফাইবার ব্যবহার করা হয়েছে বলে তিনি জানান। তারপর মাকে সাজিয়ে তোলার জন্য গহনার ব্যবহার করা হয়েছে। ৩২ কেজি রুপোর গহনা ব্যবহারের ফলে প্রশ্ন উঠেছে নিরাপত্তা নিয়েও। জানা গিয়েছে, মণ্ডপ ঘিরে নিরাপত্তার আঁটোসাটো ব্যবস্থাও করা হয়েছে। ২১টি সিসিটিভি ক্যামেরা দিয়ে মণ্ডপে নজরদারির ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এছাড়াও রয়েছে পুলিশের পাহারা। পুলিশ প্রশাসন, জেলা পুলিশ ও হাবরা থানা বিশেষভাবে সহযোগিতা করেছে বলে জানা যাচ্ছে।