সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: কয়েকদিন আগেই বসিরহাটের মাটিয়া থানার রঘুনাথপুরে অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়। নাবালিকার অস্বাভাবিক মৃত্যুর তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টের ভিত্তিতে পুলিশ জানিয়েছিল যে, সে আত্মহত্যা করেছে। কিন্তু পুলিশের দেওয়া তদন্তের এই রিপোর্টে সন্তুষ্ট হয়নি নাবালিকার পরিবার। তাই দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্ত চেয়ে এক সপ্তাহ আগে বসিরহাট আদালতের দ্বারস্থ হন নাবালিকার পরিবার। আদালতের নির্দেশে আজ কবর থেকে স্কুল ছাত্রীর দেহ তুলে দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তে পাঠালো পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সপ্তাহ খানেক আগে অস্বাভাবিক মৃত্যু হয় বসিরহাট মাটিয়া থানার রঘুনাথপুরের এক স্কুল ছাত্রীর। পরিবারের সদস্যদের দাবি ছিল, ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে নাবালিকাকে। যদিও প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ রিপোর্টে জানিয়েছিল যে, আত্মহত্যা করেছে ওই নাবালিকা। কিন্তু সেই রিপোর্টে সন্তুষ্ট না হয়ে বসিরহাট আদালতের দ্বারস্থ হন নাবালিকার বাবা মা। নাবালিকার বাবা মায়ের আবেদনে সাড়া দিয়ে বসিরহাট আদালতের বিচারক বসিরহাট পুলিশ সুপারকে নির্দেশ পাঠান দ্বিতীয়বার নাবালিকার দেহের ময়নাতদন্ত করার জন্য। এরপরই ঘটনায় অভিযুক্তরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায় বলে জানা যাচ্ছে। দ্বিতীবার ময়নাতদন্ত করার জন্য কবর থেকে নাবালিকার দেহ তুলে পাঠানো হয়ে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। আজ সকালে স্থানীয় বিডিও এক ডাক্তার এস ডি পিও থানার ওসি সহ প্রশাসনিক কর্তাব্যাক্তিদের উপস্থিতিতে মেয়েটির দেহ কবর থেকে দ্বিতীয়বার তুলে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়। এলাকায় যাতে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে তার জন্য পর্যাপ্ত পরিমানে পুলিশি ব্যবস্থা রাখা হয়।
আরও পড়ুন - North 24 Parganas: উত্তর ২৪ পরগনায় প্রথম ডোজের টিকাকরণের ১০০ শতাংশ কাজ শেষ, দাবি প্রশাসনের, কটাক্ষ বিজেপির