সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগণা: দুর্গাপুজোর সলতে পাকানো শুরু হয়ে গিয়েছে। দেবীদুর্গার মূর্তির কাঠামো পুজো হয়ে গিয়েছে । কোথাও আবার পড়ে গেছে মাটির প্রলেপও। পটুয়াপাড়ায় এখন তুঙ্গে ব্যস্ততা। এরই মধ্যে অশোকনগরে এক খুদে প্রতিমাশিল্পীকে নিয়ে পড়ে গিয়েছে হইচই।
অশোক নগর বয়েজ সেকেন্ডারি স্কুল নবম শ্রেণীর ছাত্র তুহিন কুন্ডু। ছোট্ট দুর্গা মূর্তি তৈরি করে তাক লাগিয়ে দিয়েছে এই খুদে শিল্পী। তার বাবা তন্ময় কুন্ডুর জানালেন, ছোট ছেলে তুহিন ছোটবেলা থেকেই রয়েছে ছবি আঁকতে ভালবাসে। তাতে বেশ মুন্সিয়ানার ছাপও মিলেছে। সঙ্গে আছে গান শেখার আগ্রহও। হঠাতই শখ হয় মূর্তি বানানোর। তারপর থেকেই এই চিন্তা ভাবনা নিয়ে শুরু । তারপর সে শিখে ফেলে মাটির কাজও।
তুহিনের ক্যানভাসে ফুটে উঠেছে মনীষীদের অবয়ব থেকে বিনোদন জগতের একাধিক শিল্পীর ছবিও। লাইভ পেন্টিংয়েও পারদর্শী ছোট্ট তুহিন। স্কুলেও মাটির মূর্তি গড়ে নিয়ে যেতে আগ্রহী ছোট্ট সেই কিশোর। ইতিমধ্য়েই দুর্গা, সরস্বতী, কালী থেকে একাধিক মূর্তি তৈরি করে চলেছে তুহিন।
লকডাউন এর সময় থেকেই মূর্তি তৈরি করতে আরও আগ্রহ বেড়েছে তুহিনের। বাড়িতে বসে একাধিক মূর্তি তৈরি করেছে সে নিজেই। এরপর সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ছবি তুলে প্রকাশ করতেই তা জনপ্রিয় হয়ে গিয়েছে। তুহিনের পরিবারের সদস্যদের প্রথমে কিছুটা আপত্তি ছিল ছেলের এই মৃৎশিল্পে আগ্রহী হওয়া নিয়ে। যদিও এখন তুহিনের হাতের কাজ দেখে মুগ্ধ তাঁর অভিভাবকরা। একের পর এক দুর্গা মূর্তি তৈরি হতে দেখে পরিবারের সকল সদস্যই উৎসাহিত।
আগামী দিনে তুহিনের ইচ্ছা, ফাইবারের ওপর ছোট ছোট দুর্গা ও বিভিন্ন রকমের মূর্তি তৈরি করা। তুহিনের কথায়, তার তৈরি মূর্তি গুলো ড্রয়িং রুমে রাখা সম্ভব খুব সহজেই ঘরের ড্রয়িং রুমে রাখা সম্ভব সেই কারণেই তার এই ছোট মূর্তি তৈরি করা। যদিও বাড়ির আশেপাশের মানুষজন তুহিনের এই কাজে খুবই উৎসাহিত। পাড়ার সরস্বতী মূর্তি থেকে কালী মূর্তি এখন অনেকেরই ড্রয়িং রুমে শোভা পাচ্ছে।
সামনেই দুর্গাপুজো। তখন কোনও বারোয়ারি পুজো মণ্ডপেও তুহিনের হাতে গড়া মূর্তি শোভা পাবে কিনা তারই অপেক্ষা।