উত্তর ২৪ পরগনা: অষ্টমীর রাতে জনজোয়ার। তার মধ্যেই বনগাঁর রাস্তায় হেঁটে ঠাকুর দেখলেন কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। বনগাঁর ১ নম্বর  রেল গেট থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার রাস্তা হেঁটে মণ্ডপগুলিতে ঘুরলেন বনগাঁর বিজেপি সাংসদ। বনগাঁ মতিগঞ্জ ঐক্য সম্মিলনীর পুজো মণ্ডপে আরতিও করেন শান্তনু ঠাকুর (Shantanu Thakur)।


প্রসঙ্গত, দুর্গাপুজোর উদ্বোধনে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এসেছিলেন শহরে (Amit Shah in Kolkata)। সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারে এসেই স্পষ্ট বলেছিলেন, ' আমি কোনও রাজনীতির কথা বলতে আসিনি..'। কিন্তু তা কি হয় ? যে সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের থিম এবার 'রামমন্দির', সেখানে কোনও পরোক্ষভাবেও রাজনৈতিক কথা হবে না, এমনটা মানতে নারাজ রাজনৈতিক মহলও। তাই চব্বিশের লোকসভার আগে রাজনীতি নিয়ে কিছু বলবেন না বলেও, এশহরে 'ফের আসার' বার্তা দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।


আর সেখানেই মাস্টারস্ট্রোক। মূলত ফের এসে যে রাজনীতির কথা বলবেন। তা নিয়ে জানান দিয়ে গেলেন শাহ। কিন্তু এখানেই শেষ নয়, 'বাংলায়  পরিবর্তন আনবেন', মূলত ছুঁয়ে গেলেন সেকথাই। সবমিলিয়ে বাঙালির দুর্গাপুজোতেও এবার পিছু না ছাড়ল না ভোট-রাজনীতি ! অমিত শাহ বাংলার সকলকে দুর্গাপুজোর 'শুভকামনা' জানিয়ে বলেছিলেন,  বাংলায় শুধুমাত্র মা দুর্গার আশীর্বাদ নিতেই এসেছি।..দীপাবলির থেকেও বড় উৎসব এই দুর্গাপুজো', গোটা দিনের জল্পনা উসকে দিলেন অমিত শাহ


তিনি বলেছিলেন, 'আজ আমি কোনও রাজনীতির কথা বলতে আসিনি, আমি পশ্চিমবঙ্গে ফের আসব, রাজনীতির কথাও বলব, আর এখানে পরিবর্তন করার জন্য পুরো জোর লাগাবো।' এর পরেই শাহের সংযোজন, কিন্তু আজ , 'আমি কেবল, যে রামমন্দির অযোধ্যায় তৈরি হতে চলেছে, জানুযারিতে অযোধ্যায় রামমন্দির তৈরির আগেই, উত্তর কলকাতার প্যান্ডেলে রামমন্দিরের উদঘাটন কলকাতাবাসী করে দিয়েছে।এই জন্য ওদের শুভকামনা জানাই।'


আরও পড়ুন, অনুমতি মিলেছে বেলুড় মঠের, ৯৬ বছরে প্রথমবার দুর্গাপুজো দিল্লির রামকৃষ্ণ মিশনে


অষ্টমীর রাত থেকেই মহাপুজোয় মশগুল মহানগর। দেখতে দেখতে আজ নবমীতে পা। উত্তর থেকে দক্ষিণ, পায়ে পায়ে সিগন্যাল গ্রিন। ভিড়ের চাপে যতই চিড়ে চ্যাপ্টা অবস্থা হোক কিম্বা ঘেমেনেয়ে একশা হোক গিলে করা পাঞ্জাবি, থেমে নেই প্যাণ্ডেল হপিং। আপত্তি নেই লম্বা লাইনের দীর্ঘ প্রতীক্ষায়। বছরে তো এই ক’টা মাত্র দিন। রাজপথে মানুষের ঢল। সময়ের সঙ্গে বাড়ছে জনস্রোত।আলো ঝলমলে শহরে ঠাকুর দেখার ঢল। থিম, সাবেকিয়ানা মিলেমিশে একাকার উৎসবের রঙ। প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে ঘুরে সেই আমেজই তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করছেন শহরবাসী।