সমীরণ পাল, উত্তর চব্বিশ পরগনা : রবিবার ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণের সাক্ষী থেকেছে উত্তর ২৪ পরগনার দত্তপুকুরের মোচপোল। তারপরও গত ৫ দিনে বিপুল পরিমাণে নিষিদ্ধ শব্দবাজি উদ্ধার হয়েছে আশেপাশের এলাকায়! 'আতসবাজির নামে চলছে বোমা তৈরি',  দত্তপুকুরের বিস্ফোরণ নিয়ে বৃহস্পতিবারই আগেই চাঞ্চল্য়কর মন্তব্য়  করেছিলেন তৃণমূল নেতা এবং ব্য়ারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং। এবার অর্জুন সিংয়ের 'সুর' এবার শোনা গেল সৌগত রায়ের গলায়।     

  


দত্তপুকুরে বিস্ফোরণের ঘটনার পিছনে পুলিশের একাংশের দিকেই আঙুল তুলেছেন তৃণমূল সাংসদ। 'পুলিশের নিচু তলার অবহেলা ছিল...আমরা আশা করি আর হবে না', এমনটাই মন্তব্য করেছেন সৌগত রায়। বৃহস্পতিবার, দত্তপুকুরের বিস্ফোরণের ঘটনায় মন্তব্য করতে গিয়ে, পুলিশের নিচুতলার দিকেই আঙুল তোলেন ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিংহ।তিনি বলেন,  ' ধরুন ১০ শতাংশ আতসবাজি তৈরি করে, ৯০ শতাংশ বোমা তৈরি করল। ওতে বেশি লাভ আছে। মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী সঠিক রুটটা ধরেছেন এবার। এটা কিন্তু ইনভলভমেন্ট কিন্তু নিচের লেভেল থেকেই হয়। ছোট স্বার্থের জন্য এরা কিচ্ছু চেনে না। নিচের লেভেল মানে পুলিশের নিচের লেভেলটা বলছি। এরা নিজের স্বার্থের জন্য সব জায়গায় এখন, আগে ডাক মাস্টার থাকত ... নিচের লেভেলে এগুলো বিভৎসভাবে ড্য়ামেজ করছে পার্টির ভাবমূর্তিটাকে।'             


তৃণমূল নেতৃত্ব ব্য়ক্তিগত মন্তব্য় বলে বিষয়টি এড়ানোর চেষ্টা করলেও, দত্তপুকুর বিস্ফোরণ নিয়ে অর্জুন সিংহের মন্তব্যে নিঃসন্দেহে অস্বস্তিতে পড়েছে শাসক দল। তারপর আবার আগুনে ঘি ঢালার মতো সামনে এসেছে বর্ষীয়ান নেতা সৌগত রায়ের মন্তব্য। 


যদিও দত্তপুকুরে বিস্ফোরণের পর, ইঙ্গিতপূর্ণভাবে পুলিশের একাংশের ভূমিকার কড়া সমালোচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, 'কেউ কেউ বেআইনি কাজ করছে এবং পুলিশ সেটা চোখ বুজে দেখছে।' 


এগরার পর দত্তপুকুরের ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজনৈতিক মহলে। প্রশ্ন উঠছে, শুধু বাজি তৈরি হলে বিস্ফোরণের এই তীব্রতা হতে পারে? সাধারণ বিস্ফোরণে এভাবে ছিটকে যেতে পারে দেহাংশ? বাজি তৈরির সঙ্গে থরে থরে সাজানো রায়াসনিকের কী সম্পর্ক? তাহলে কি নেপথ্য়ে ছিল বড় কিছু? এনিয়ে যখন রাজ্য-রাজনীতিতে তোলপাড় চলছে, প্রশাসনের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তা ও তৃণমূলের বিরুদ্ধে দুষ্কৃতীদের মদত দেওয়ার অভিযোগে সরব বিরোধীরা, তখন, দত্তপুকুরে বিস্ফোরণ নিয়ে চাঞ্চল্যকর মন্তব্য করছেন তৃণমূলের দলের হেভিওয়েট নেতারাই।