সমীরণ পাল, কলকাতা: ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণের পর চার দিন কেটে গিয়েছে। এখনও উদ্ধার হয়েই চলেছে নিষিদ্ধ বাজি। একই সঙ্গে দত্তপুকুর বিস্ফোরণকাণ্ড নিয়ে চলছে দোষারোপ, পাল্টা দোষারোপের পালা। তৃণমূল এবং ISF, দুই দলই পরস্পরকে দোষারোপ করছে। নিখোঁজ রমজান আলির একটি ছবি সামনে আসার পর এই নিয়ে নতুন করে শুরু হয়েছে তরজা। যে চার জনের নামে এফআইআর দায়ের হয়েছে, তাতে নাম রয়েছে এই রমজানেরও। (Duttapukur Incident)
রবিবার ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণের সাক্ষী থেকেছে উত্তর ২৪ পরগনার দত্তপুকুরের মোচপোল। তার পরও গত চার দিনে বিপুল পরিমাণে নিষিদ্ধ শব্দবাজি উদ্ধার হয়েছে আশেপাশের এলাকায়, যা নিয়ে তৃণমূল এবং ISF-এর মধ্য়ে রাজনৈতিক চাপানউতোরের পারদ ক্রমশ চড়ছে। দত্তপুকুরের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত চার জনের নামে FIR দায়ের হয়েছে। বিস্ফোরণের মাস্টারমাইন্ড কেরামত আলি, শামসুর আলি ওরফে খুদে, রমজান আলি এবং আজিবর রহমান। (North 24 Parganas News)
এর মধ্যে বিস্ফোরণে প্রথম দুই অভিযুক্তের মৃত্যু হয়েছে। বাকি দু'জনের এখনও পর্যন্ত খোঁজ মেলেনি। এই প্রেক্ষাপটে একটি ছবিটি সামনে এনেছে তৃণমূল, যেখানে, রমজান আলি ওরফে কালোকে বিস্ফোরণস্থলের উল্টোদিকে ISF-এর দলীয় কার্যালয়ে পতাকা উত্তোলনের সময় দেখা যাচ্ছে।
শেষ পঞ্চায়েত নির্বাচনে দত্তপুকুরের ওই বুথে ৬২ ভোটে জেতে ISF. যদিও বিস্ফোরণের সঙ্গে তাঁর ছেলের কোনও যোগ নেই বলেই দাবি করেছেন রমজান আলির মা।
রমজানের মা, আয়াতন বিবি সংবাদমাধ্যমে বলেন, "মুর্শিদাবাদের তিন জন শ্রমিককে ভাড়া দিয়েছিল। এটাই ওর দোষ। ও এসবে কোনও ভাবেই যুক্ত নয়। ও মাংসের ব্যবসা করত। ISF করত। ঝামেলা হয়েছিল।"
অন্য দিকে, আতসবাজির নামে একের পর এক বেআইনি শব্দবাজির গুদাম রাখার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল নেতা আজিবর রহমানের বিরুদ্ধেও। মঙ্গলবার, তাঁর ছেলে গ্রামে ফিরে মারধরের মুখে পড়েন। বিস্ফোরণে এতগুলো প্রাণহানির পরও দত্তপুকুর বিস্ফোরণকাণ্ড নিয়ে রাজনৈতিক তরজা অব্যাহত।
ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণের পর চার দিন কেটে গিয়েছে চারদিন। কিন্তু এখনও উদ্ধার হয়েই চলেছে নিষিদ্ধ বাজি। স্থানীয় পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য আরশাদ হোসেনের বাড়ির অদূরে উদ্ধার হয়েছে বিপুল পরিমাণে নিষিদ্ধ শব্দবাজি। আর এ নিয়েই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। যদিও বাড়ির কাছে বাজি উদ্ধার নিয়ে তৃণমূল নেতার সঙ্গে বারবার যোগাযোগ করা হলেও তাঁর প্রতিক্রিয়া মেলেনি।