সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: বারাসাতে পুকুর ভরাট (Pond Filling) নিয়ে ফের সরব হলেন বারাসাত (Barasat Municipality) পুরসভার প্রাক্তন প্রধান সুনীল মুখোপাধ্যায় (Sunil Mukherjee)। অভিযোগ, বারাসাত পুরসভার দু'নম্বর ওয়ার্ডে অবাধে পুকুর ভরাট চলছে। খবর পেয়ে তড়িঘড়ি অভিযোগও দায়ের করে পুরসভা। দিনপাঁচেক আগে দলেরই প্রাক্তন পুরপ্রধান কয়েকজন পুর-আধিকারিকের বিরুদ্ধে নাম না করে অবাধে পুকুর ভরাটের অভিযোগ আনেন প্রাক্তন পুরপ্রধান। তার এক দিন পরেই পুকুর বোজানোর ঘটনা সামনে আসে।


হালেই বিতর্ক...
দিনপাঁচেক আগেকার সেই বিতর্কের মুখে পুর পারিষদ অবশ্য দাবি করেছিলেন, এই নিয়ে পুরসভার কাছে কোনও খবর ছিল না। তবে সে দিনই পুরসভার তরফে থানায় অভিযোগ করা হয়। ঘটনা হল, পুকুর ভরাট নিয়ে আগেও হইচই পড়েছে রাজ্য়ের নানা প্রান্তে। গত জানুয়ারিতে যেমন তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদারের বিরুদ্ধে পুকুর ভরাটের অভিযোগ ঘিরে ধুন্ধুমার বাধে হুগলির চুঁচুড়ায়। ত্রিকোণ পার্ক এলাকায় রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি কর্মীরা। সেসময় তাঁদের সঙ্গে বচসা, হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন তৃণমূল কর্মীরা। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। একটি হোয়াটসঅ্যাপ চ্য়াটের স্ক্রিনশট ঘিরে বিতর্ক শুরু। তাতে দেখা যায় তৃণমূলেরই এক কাউন্সিলর দলের গ্রুপে বিধায়কের বিরুদ্ধে পুকুর ভরাটের অভিযোগ করেন। যদিও তার সত্যতা যাচাই করেনি এবিপি আনন্দ। 


বিতর্ক অতীতেও...


প্রসঙ্গত, এর আগে গত বছর পুকুর ভরাট রুখতে তৎপর হয়ে উঠেছিল ভাটপাড়া পুরসভা। ২০ নম্বর ওয়ার্ডে পুকুর খোঁড়ার কাজে হাত লাগিয়েছিলেন খোদ স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর । তবে ঘটনায় কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে টাকা নেওয়ার অভিযোগ করেন জমির মালিক ও তৃণমূল কর্মী। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেন ওই কাউন্সিলর। দিনে দুপুরে এভাবেই পুকুর বোজানোর কাজ চলছিল তৃণমূল পরিচালিত ভাটপাড়া পুরসভায়। অভিযোগ পেয়ে অবশেষে  সক্রিয় ভূমিকা নেয় পুর কর্তৃপক্ষ। প্রায় বুজিয়ে ফেলা পুকুর থেকে তোলা হয় মাটি। কিন্তু এই পুকুর বোজানো নিয়েই উঠেছিল কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ। স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলরের দিকে আঙুল তোলেন খোদ পুকুর মালিক ও স্থানীয় তৃণমূল কর্মী। এ ছবি ভাটপাড়ার ২০ নম্বর ওয়ার্ডের মুলাজোড় এলাকার। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, বেশ কয়েকদিন ধরে প্রায় ২ বিঘা জুড়ে এই পুকুর বোজানোর কাজ চলছিল। কিন্তু কেন বেআইনিভাবে পুকুর বোজানোর চেষ্টা হচ্ছিল, এ প্রশ্নের জবাবে বিস্ফোরক পুকুরের মালিক, এলাকায় তৃণমূল কর্মী হিসেবে পরিচিত রাজ বিশ্বাস। তিনি বলছেন,'কাউন্সিলর পয়সা নিয়েছে। আমরা দিয়েছি। ১৫-২০ দিন ধরে কাজ হচ্ছে আগে বলেনি কেন। কাউন্সিলর আরও টাকা চেয়েছে দিইনি তাই খোঁড়া হয়েছে।'


আরও পড়ুন:কেন দীর্ঘদিন সারছেই না কাশি ? অ্যাডিনোভাইরাস ডেকে আনছে ফুসফুসের ভয়ঙ্কর রোগ