সমীরণ পাল, বাগুইআটি: বাগুইআটিতে (Baguiati Twin Murder) দুই নাবালক খুনের ঘটনায় নতুন মোড়। রাজসাক্ষী হওয়ার আবেদন জানালেন এক অভিযুক্ত। অভিযোগ, গত বছরের ২২ অগাস্ট, মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী দুই ভাই অতনু দে ও অভিষেক নস্করকে অপহরণ করে খুন করা হয়। খুনের পর অতনুর বাবার কাছে এক কোটি টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। ওই ঘটনায় ৬ জনকে গ্রেফতার করে CID। এদের মধ্যে দিব্যেন্দু দাস নামে এক অভিযুক্ত গোপন জবানবন্দি দেওয়ার জন্য গতকাল বারাসাত আদালতে আবেদন জানান। আবেদন খতিয়ে দেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে জানিয়েছেন সরকার পক্ষের আইনজীবী।


দুই নাবালক খুনের ঘটনায় নতুন মোড়: গত ২৫ অগাস্ট হাড়োয়ায় অভিষেকের দেহ উদ্ধার হয়েছে। তারপরে সেই দেহ উদ্ধারের কথা জানিয়ে থানায় থানায় বার্তা দেওয়া হয়। কিন্তু তার আগে, ২৩ অগাস্ট ন্যাজাটে অতনুর দেহ উদ্ধার হয়। হাড়োয়ায় ইট বাঁধা অবস্থায় অভিষেকের দেহ উদ্ধার হয়, সেখানে দেহ ভাসতে দেখা যায়। পরে দেখা যায় প্যান্ট দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে সেই প্যান্টে ইঁট বেঁধে রাখা হয়েছিল। যাতে জলের তলায় যাতে ডুবে থাকে দেহ। এভাবে দেহ দেখেও কেন খুন বলে সন্দেহ হয়নি পুলিশের, প্রশ্ন ওঠে। এরপরেই বাগুইআটিকাণ্ডে আইসি কল্লোল ঘোষ ও তদন্তকারী অফিসার এসআই প্রীতম সিংকে সাসপেন্ড করার পর বাগুইআটি থানার নতুন আইসি করা হয় শান্তনু সরকারকে। এবার এই ঘটনায় রাজসাক্ষী হওয়ার আবেদন জানালেন এক অভিযুক্ত। 


প্রসঙ্গত, বাগুইআটি জোড়া খুনের দু’ সপ্তাহ পরেও অধরা ছিল  মূল অভিযুক্ত সত্যেন্দ্র চৌধুরী। জানা গিয়েছিল, পরপর মেসেজ করেছে, তা সত্ত্বেও লোকেশন ট্র্যাক করা যায়নি। কারণ বারাবার সিম বদল করায়, লোকেশন ধরা যাচ্ছিল না বলেই দাবি করেছিলেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। বাগুইআটিকাণ্ডে তদন্তে নামে সিআইডি-র হোমিসাইড শাখা। সঙ্গে স্পেশাল অপারেশন গ্রুপের অফিসাররা। নেতৃত্বে আইজি পদমর্যাদার অফিসার। অবশেষে মেলে বড় সাফল্য। হাওড়া স্টেশন চত্বর থেকে গ্রেফতার করা হয় মূল অভিযুক্ত সত্যেন্দ্র চৌধুরীকে। বিধাননগর কমিশনারেটের হাতে ধরা পড়ে সে। সূত্রের খবর, ট্রেন ধরে ভিনরাজ্যে পালানোর পরিকল্পনা ছিল সত্যেন্দ্রর । গোপন সূত্রে খবর পেয়ে হাওড়া স্টেশনে পৌঁছয় পুলিশের স্পেশাল টিম। স্টেশনে পা দেওয়ামাত্র সত্যেন্দ্রকে পাকড়াও করে পুলিশ। 


আরও পড়ুন: West Bengal News: হাতি-কুমিরের তাণ্ডবে জেরবার, অবশেষে দুই জেলায় ফিরল স্বস্তি