সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: মাদক পাচারকাণ্ডে (drug dealing) জেল খাটার অভিযোগ। বনগাঁর (Bongaon) জায়গায় জায়গায় বিজেপি (BJP) বিধায়কের ছবি দিয়ে ফ্লেক্স। তৃণমূল (TMC) এই কাজ করেছে। দাবি বিজেপি বিধায়কের। মাদক কারবারে জড়িত থাকার অভিযোগ মিথ্যা হলে, প্রশাসনের কাছে জানান। ফ্লেক্স (flex) দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে পাল্টা কটাক্ষ করেছে তৃণমূল।


ফ্লেক্সে ‘মাদক’ তরজা


'বিজেপি বিধায়কের কুকীর্তি! ভেবে দেখুন কারা ভোট চাইতে আসছে।' উত্তর চব্বিশ পরগনার বনগাঁর বিভিন্ন জায়গায় লাগানো এই ফ্লেক্স ঘিরেই তুঙ্গে রাজনীতি। ফ্লেক্সে দেওয়া হয়েছে বনগাঁ দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক স্বপন মজুমদারের ছবিও। সেই সঙ্গে একটি সংবাদপত্রের কাটিং তুলে ধরে দাবি করা হয়েছে, মণিপুরে মাদক পাচারকাণ্ডে ১০ বছরের কারাদণ্ড হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি নেতার।  


কারা এই ফ্লেক্স টাঙিয়েছে, তার কোনও উল্লেখ করা হয়নি এখানে। যদিও বিজেপি বিধায়কের অভিযোগ, এই ঘটনার পিছনে তৃণমূলের হাত রয়েছে। সেই সঙ্গে তাঁর দাবি, মণিপুরের যে মাদক পাচারকাণ্ডের কথা ফ্লেক্সে তুলে ধরা হয়েছে, সেই মামলায় তিনি নির্দোষ প্রমাণিত হয়েছেন।


বনগাঁয় ফ্লেক্স-রাজনীতি


বনগাঁ দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক স্বপন মজুমদারের কথায়, 'তৃণমূলের কুকীর্তির বিরুদ্ধে বনগাঁ পৌরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের উপনির্বাচনের প্রচারে গিয়ে আঙুল তুলেছিলাম, তাই তৃণমূল আমার বিরুদ্ধে ফ্লেক্স ফেলেছে। যে অভিযোগ এনে ফ্লেক্স দিয়েছে তার কোনও ভিত্তি নেই। আদালতে আমি নির্দোষ প্রমাণিত হয়েছি।'


ফ্লেক্সের দায় নিতে নারাজ তৃণমূল। তবে বিজেপি বিধায়ককে কটাক্ষও করতে ছাড়েনি তারা। বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস বলেন, 'যারা ফ্লেক্স দিয়েছে তারা বলতে পারবে। কাচের ঘরে থেকে ঢিল ছুড়তে নেই। অভিযোগ যদি মিথ্যা হয়, তাহলে ওঁকে প্রশাসনের দ্বারস্থ হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছি।'


আরও পড়ুন: কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের সামনে ঝাড়গ্রামে তৃণমূল-বিজেপি কর্মীদের তরজা


দিন কয়েক আগেই হাটে মাদক বিক্রির অভিযোগে, ধুন্ধুমারকাণ্ড বেঁধেছিল আমডাঙায়। যে ঘটনায়, মাদক কারবারে মদত দেওয়ার অভিযোগে সরাসরি আমডাঙা থানার IC-র দিকে আঙুল তুলেছিলেন স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক রফিকুর রহমান। এবার সেই উত্তর চব্বিশ পরগনার বনগাঁয়, মাদক পাচারকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে ফ্লেক্স পড়ল বিজেপি বিধায়কের বিরুদ্ধে।


আরও পড়ুন: Maniktala: ছাত্রীর রহস্যমৃত্যু, 'ভাল মেয়ে হতে পারলাম না' লেখা সুইসাইড নোট উদ্ধার, তদন্তে পুলিশ