সমীরণ পাল, গাইঘাটা : বেআইনিভাবে খোলা বাজারে বিরল প্রজাতির কচ্ছপ বিক্রি (Illegal Trade of Tortoise)। গাইঘাটায় (Gaighata) হাতেনাতে চার জনকে পাকড়াও করল বন দফতর (Forest Department Busts Tortoise Trade Racket)। অভিযুক্তদের কাছ থেকে ১০০টির বেশি বিরল প্রজাতির কচ্ছপ উদ্ধার করা হয়েছে।
গাইঘাটার বিভিন্ন এলাকায় বেআইনিভাবে কচ্ছপ বিক্রি এবং পাচারের অভিযোগ দীর্ঘদিনের। বিশেষ করে পাঁচপোতা বাজারে দিনের আলোয় বিরল প্রজাতির কচ্ছপের বেচাকেনা চলে। বেশ কিছু দিন ধরেই সে দিকে নজর ছিল বন দফতরের।
খবর পেয়ে সেইমত শনিবার সকালে পাঁচপোতা বাজারে হানা দেন বন দফতরের আধিকারিকরা। সেখানেই উত্তম সরকার, আশুতোষ কুণ্ডু, সুকুমার সরকার এবং জয়ন্ত মালি নামের চার জনকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন তাঁরা।
বন দফতর সূত্রে খবর, গ্রেফতার হওয়া চার জনের মধ্যে দু’জন কচ্ছপ বিক্রেতা। অন্য দু’জন কচ্ছপ কাটার কাজ করে। তাদের কাছ থেকে ১০০-র বেশি বিরল প্রজাতির কচ্ছপ উদ্ধার হয়েছে। কোথা থেকে কচ্ছপগুলি আনা হয়েছিল, আর কে কে এই চক্রের সঙ্গে যুক্ত, তা জানার চেষ্টা করছেন বন দফতরের আধিকারিকরা। রবিবার ধৃতদের বারাসত আদালতে তোলা হবে।
তবে গাইঘাটা থানার অনতিদূরে, প্রশাসনের নাকের ডগায় কীভাবে খোলা বাজারে কচ্ছপ বিক্রি চলছিল, তার কোনও সদুত্তর নেই। প্রশাসনের তরফে যদিও প্রচারে ঘাটতি নেই। বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে (Wildlife Conservation) সচেতনতা অভিযান চলছে দফায় দফায়। কিন্তু তার কোনও প্রভাব চোখে পড়ছে না।
বরং শীতের মরসুমে প্রত্যেক বছরই বেআইনিভাবে কচ্ছপ বিক্রি এবং কাঁটাতার পেরিয়ে তা পাচারের (Tortoise Smuggling) রমরমা দেখা যায়। তা রুখতে প্রতি বছরই এই সময় অভিযান চালায় বন দফতর এবং পুলিশ। প্রতি বছরই পাচারকারীদের খপ্পর থেকে প্রচুর পরিমাণ কচ্ছপ উদ্ধার হয়। বন দফতরের কাছে গাইঘাটা কচ্ছপ পাচারের মূল ডেরা হিসেবেও চিহ্নিত হয়ে রয়েছে। তাতেও অপরাধ ঠেকানো যাচ্ছে না। বরং প্রশাসনের নাকের ডগা দিয়েই চলছে কারবার।