উত্তর ২৪ পরগণাঃ হাঁসখালি গণধর্ষণকাণ্ডে প্রথম চার্জশিট জমা দিল সিবিআই। উল্লেখ্য, কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে হাঁসখালি গণধর্ষণকাণ্ডে তদন্ত শুরু করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। হাঁসখালি গণধর্ষণকাণ্ডের পর মূলত উত্তাল রাজ্য-রাজনীতি। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে ৬ জনকে। এই ঘটনায় প্রধান অভিযুক্তর বাবা তথা তৃণমূল নেতাকেও ইতিমধ্যেই তলব করে সিবিআই।
আরও পড়ুন, জমি দিয়ে মিলল ৩০০ জুনিয়র কনস্টেবল পদে চাকরির নিয়োগ পত্র !
রাজ্যে ঘটে চলা একের পর এক ইস্যুতে তদন্ত করে বিজেপির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি। হাঁসখালি গণধর্ষণকাণ্ডেও প্রথমে রাজ্যে সিট গঠন করে তদন্ত করলেও যবনিকা টানে কলকাতা হাইকোর্ট। এই মামলায় নাম জড়ায় রাজ্যের শাসকদলের। এরপরেই এই বহু বিতর্কিত মামলায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই-কেই তদন্তের নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। এই মামলায় ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে ৬ জনকে। এই ঘটনায় প্রধান অভিযুক্তর বাবা তথা তৃণমূল নেতাকেও ইতিমধ্যেই তলব করে সিবিআই। ঘটনাস্থল অর্থাৎ প্রধান অভিযুক্তর বাড়িতে গিয়ে খাট এবং অন্যান্য জরুরী নথি জোগাড় করে সিবিআই-র তদন্তকারী আধিকারিকরা।
এদিকে, হাঁসখালি গণধর্ষণকাণ্ডের পরে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যে ঝড় ওঠে বাংলা জুড়ে। নির্যাতিতা এবং প্রধান অভিযুক্ত ব্রজগোপাল গোয়ালার মধ্যে সম্পর্ক আগে থেকেই ছিল বলে উল্লেখ করেন তিনি। যেহেতু ধর্ষণের পরে নির্যাতিতাকে দাহ করে ফেলা হয়, তাই কী করে কিছু প্রমাণ হয়, এই প্রশ্নও তোলা হয়। আর এরপরেই গেরুয়া শিবির ময়দানে নামে। মৃতার বাড়ি যান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। প্রসঙ্গত, বাড়ি ডেকে এনে অনুষ্ঠানের রাতে ধর্ষণ করা হয়, এমনই অভিযোগ ওঠে তৃণমূল নেতার ছেলে এবং তাঁদের বন্ধুদের বিরুদ্ধে। এদিকে ধর্ষণের পর অসুস্থ হয়ে নির্যাতিতার মৃত্যু হয়। এখানেই শেষ নয়, ভয় দেখিয়ে বলপ্রয়োগ করে মৃতাকে দেহ করে ফেলার অভিযোগও ওঠে। তবে এই অভিযোগগুলি আদৌ সত্যি কিনা, তা খতিয়ে দেখছে সিবিআই। আর এদিনই প্রথম হাঁসখালি গণধর্ষণকাণ্ডে প্রথম চার্জশিট জমা দিল সিবিআই।