সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: স্কুলে বিল্ডিং নির্মাণের (Building Construction At School) কাজে নিম্নমানের সামগ্রী (Lower Quality Material) ব্যবহারের অভিযোগে স্কুল চলাকালীনই ঠিকাদার সংস্থার (Contractual Laborers) কর্মীদেরকে মারধরের অভিযোগ উঠল দেগঙ্গা (De Ganga) পঞ্চায়েত সমিতির কৃষির কর্মাধ্যক্ষ লিয়াকত আলী সাগরের অনুগামীদের বিরুদ্ধে। টিকা শ্রমিকদের মারধরের দৃশ্য সিসিটিভি ক্যামেরাবন্দি হয়েছে। ঘটনায় স্কুল চত্বরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। বুধবার সকালের দেগঙ্গার চৌরাশি হাইস্কুলে ঘটনাটি ঘটেছে।
কী হয়েছিল?
প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, এমএসডিপি প্রকল্প থেকে স্কুলে বিল্ডিং নির্মাণের কাজ চলছিল। নির্মাণের কাজে থাকা ঠিকাদার সংস্থার শ্রমিক আরশেদ আলির অভিযোগ, 'সকাল দশটা পনেরো নাগাদ ৩০ থেকে ৪০ জন দুষ্কৃতী এসে আমাদের কাজ বন্ধ করতে বলে। এলোপাথারি মারধর করে। আটজন শ্রমিক আহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে মারাত্মকভাবে জখম চার জন ঠিকা শ্রমিক।' ঠিকা সংস্থার মালিক শশাঙ্ক চৌধুরী দেগঙ্গা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। চৌরাশি হাই স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য মহম্মদ আব্দুর রহিম পঞ্চায়েত সমিতির কৃষির কর্মাধ্যক্ষ লিয়াকাত আলির নাম না করে তৃণমূল নেতার অনুগামীদের বিরুদ্ধেই অভিযোগ করেন। তাঁর কথায়,'আমরা সিসিটিভিতে সে দৃশ্য দেখতে পেয়েছি। স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে।' বারাসাত সাংগঠনিক জেলার বিজেপির সাধারণ সম্পাদক তরুণ কান্তি ঘোষের দাবি, 'তৃণমূলের দুটো গোষ্ঠীর সিন্ডিকেট রয়েছে। এক গোষ্ঠী স্কুলের বিল্ডিং নির্মাণের ইট পাথর বালি সরবরাহ করেছে। অন্য গোষ্ঠী পারেনি। তাই কাটমানির ভাগ পায়নি। সেই কারণে দিনমজুর ঠিক শ্রমিকদের উপরে হামলা চালিয়েছে। স্কুল চলাকালীন স্কুলের ভিতর গিয়ে এভাবে হামলা করা অত্যন্ত নিন্দনীয়।'
কী দাবি তৃণমূলের?
এই অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে জানিয়েছেন দেগঙ্গা পঞ্চায়েত সমিতির কৃষির কৃষির কর্মাধ্যক্ষ লিয়াকাত আলি সাগর। তাঁর মতে, এই ঘটনার কিছুই জানেন না। এলাকাতেও ছিলেন না। স্কুলে যারা শ্রমিকদের উপরে চড়াও হয়েছেন, তাঁরা আসলে অভিভাবক বলে দাবি লিয়াকতের। আর নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে বিল্ডিং নির্মাণের যে অভিযোগ উঠেছে, তা খতিয়ে দেখার পক্ষে সওয়ার করেছেন তিনি। এর সঙ্গে কোনও রাজনৈতিক সম্পর্ক নেই, দাবি তাঁর। বিজেপি সিপিএম তৃণমূলের কোনও ব্যাপার নয়। অভিভাবকরা ক্ষোভ দেখিয়েছেন বলে জানিয়েছেন লিয়াকত। সঙ্গে সংযোজন, তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তোলা হয়েছে। গোটা ঘটনা ঘিরে বুধবার তীব্র আলোড়ন তৈরি হয় এলাকায়। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে পড়ুয়াদের মধ্যেও।
আরও পড়ুন:ওষুধ কিনতে আসছিলেন, তৃণমূল কর্মী ও তাঁর বাবাকে লক্ষ্য করে একের পর এক গুলি !