সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: বাইকে করে গোবরডাঙ্গা রাম মন্দির থেকে অযোধ্যার রাম মন্দিরের (  Ayodhya Ram Temple )উদ্দেশে রওনা দিলেন শ্রী শ্রী গৌড় গোপাল ভজন আশ্রমের মহারাজ গৌড় হরিদাস। মহারাজের সঙ্গে রয়েছেন তারই শিষ্য অরুণ বৈদ্য।


কল্যাণী, দুর্গাপুর হয়ে বিভিন্ন রাজ্য অতিক্রম করে বেনারসে পৌঁছবেন আগামী ২১ জানুয়ারি। প্রায় হাজার কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে তারা পৌঁছে যাবেন অযোধ্যার রামমন্দিরে। এর আগে শারীরিক বিশেষভাবে সক্ষম সৌমিক গোলদার  এক পায়ে সাইকেল চালিয়ে গোবরডাঙ্গার রামমন্দির থেকে ইতিমধ্যেই বেনারস পৌঁছে গেছেন। গোবরডাঙ্গা এবং রাজ্য তথা দেশবাসীর মঙ্গল কামনায় ঐতিহাসিক ঘটনার সাক্ষী থাকতে এবার মোটর সাইকেলে রওনা দিলেন মহারাজ ও তার শিষ্য।


সম্প্রতি অযোধ্যায় রামমন্দির (Ayodhya Ram Temple) উদ্বোধনের আগেই রামমন্দিরের উদ্বোধন হয়েছে মেদিনীপুরে (Midnapore)। মেদিনীপুর পুরসভার উদ্যোগে গাঁধীঘাট এলাকায় উদ্বোধন হয়েছে রাম-সীতা মন্দিরের। অযোধ্যার আগেই মেদিনীপুরে রামমন্দির উদ্বোধন ঘিরে শুরু হয় তরজা। যাঁরা অযোধ্যার রামমন্দিরের বিরোধিতা করেছেন, তাঁরাই মেদিনীপুরে রামমন্দির করেছেন, খোঁচা দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh)।  পাল্টা নিশানা তৃণমূল বিধায়ক জুন মালিয়ার (June Malia)।


উল্লেখ্য, ২২ জানুয়ারি অযোধ্যায় রাম মন্দিরের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী।  প্রাণ প্রতিষ্টা উৎসবের জন্য সরকার ও প্রশাসন দীর্ঘদিন ধরে কঠোর পরিশ্রম করে আসছে। এখন প্রস্তুতি শেষ পর্যায়ে। রাম মন্দিরে নিরাপত্তার জন্য কড়া ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে এই দিন সকল দর্শনার্থী ভক্তদের জন্য প্রবেশের ব্যবস্থা রাখা হয়নি। অতিথিরা আমন্ত্রণ পত্র নিয়ে তবেই প্রবেশ করতে পারবেন মন্দিরের ভিতরে। যাদের কাছে ট্রাস্টের আমন্ত্রণপত্র রয়েছে তারাই মন্দিরে যেতে পারবেন। 


আরও পড়ুন, ভুল করে মায়ের ওষুধ খেয়েছিল একরত্তি ! হাসপাতালে গিয়েও বাড়ি ফেরা হল না শিশুকন্যার


রাম মন্দিরের প্রাণপ্রতিষ্ঠা অনুষ্ঠানে প্রবেশের কিছু নিয়ম রয়েছে। সকাল ১১ টার মধ্যে রাম মন্দিরে প্রবেশ করতে হবে অতিথিদের। অতিথি তালিকায় নাম নেই, এমন কোনও সাধু-সন্ত প্রবেশ করতে পারবেন না। অতিথিরা কোনও পরিচারক বা সাহায্যকারীকে নিয়ে প্রবেশ করতে পারবেন না, তাঁদের একাই যেতে হবে মন্দির চত্বরে। যদি কোনও সাধু-সন্ত রামলাল্লাকে দর্শন করতে চান, তাহলে তাঁরা প্রধানমন্ত্রী বেরিয়ে যাওয়ার পরই প্রবেশ করতে পারবেন।রাম মন্দিরে মোবাইল, ইলেকট্রনিক ঘড়ি, ল্যাপটপ বা ক্যামেরার মতো যেকোনো ধরনের ইলেকট্রনিক জিনিস বহন করা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ।