সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: সামনে পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Election)। তাই এলাকার নিরাপত্তা কড়া করতে অভিনব উদ্যোগ নিল নিউ ব্যারাকপুর থানা (New Barrackpore Police Station)। নিউ ব্যারাকপুর থানার উদ্যোগে বিলকান্দা দু'নম্বর ব্লকে সদর বাজার, জনবহুল এলাকায় সিসিটিভির মোড়কে ঢেকে ফেলা হল। নিউ ব্যারাকপুর থানার এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তবে এই নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।


কী ঘটেছিল?
খড়দা তিন নম্বর মন্ডলের বিজেপির সভাপতি তন্ময় গুহ বলেন, 'তৃণমূল কংগ্রেসের আর একটি পার্টি অফিস হল থানা। আর পুলিশ তৃণমূলের ক্যাডার হিসেবে কাজ করে। তাই এই সমস্ত সিসিটিভি লাগানো লোক দেখানো। যাঁরা সাধারণ মানুষকে নিরাপত্তা দিতে পারেন না, তাঁদের মুখে এই ধরনের নিরাপত্তা সিসিটিভির কথা মানায় না।' বিজেপির অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন বিলকান্দা দু'নম্বর পঞ্চায়েত সভাপতি সুপ্রিয়া ঘোষ। তিনি বলেন, 'পঞ্চায়েত ভোটের মুখে পুলিশের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই। বিজেপি বা বিরোধীরা কী বলল তাতে গুরুত্ব দেয় না তৃণমূল। তবে নিরাপত্তা বাড়াতে যদি আরও সিসিটিভির প্রয়োজন হয় শহর জুড়ে লাগানোর ব্যবস্থা করতে হবে।' প্রসঙ্গত, এর আগেও পঞ্চায়েত ভোট উপলক্ষ্যে নানা তোড়জোড় করেছে তৃণমূল।


ভোট উপলক্ষ্যে তোড়জোড়...
গত বছর ডিসেম্বরের কথা।  বড়দিন (Christmas) উপলক্ষ্যে কেক (Cake) বিলি করে পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Vote) প্রচার শুরু করে তৃণমূল (TMC)। সান্তা ক্লজ সেজে বাড়ি বাড়ি গিয়ে কেক আর ফুল তুলে দেন খড়গপুর ২ নম্বর ব্লকের লছমাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান নান্টু দলুই। কেক তুলে দেওয়ার পাশাপাশি, দলের হয়ে ভোটও চান তৃণমূল প্রধান। বিজেপির ঘাটাল সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তন্ময় দাসের কটাক্ষ, আজ যাঁদের কেক বিলি করছেন, কাল তাঁদের কাছেই কাটমানি চাইবেন। প্রসঙ্গত, বিরোধীদের সমালোচনার মুখে নতুন বছরের প্রথম দিনেই শান্তিপূর্ণ পঞ্চায়েত ভোটের বার্তা দিয়েছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। পঞ্চায়েতে কেউ অশান্তি করলে তাঁদের প্রতিও হুঁশিয়ারি দেন তিনি। তৃণমূল কংগ্রেসের ২৫তম প্রতিষ্ঠা দিবসে তৃণমূল ভবনে অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিলজলার কাছে পঞ্চান্নগ্রামে নতুন তৃণমূল ভবন তৈরি হবে। দলের প্রতিষ্ঠা দিবসে সেখানে ভিতপুজোর অনুষ্ঠানে যোগ দেন অভিষেক। বলেছিলেন, 'পঞ্চায়েত ভোট অবাধ ও শান্তিপূর্ণ হবে। কেউ অশান্তি করলে ফল ভাল হবে না। দেশকে পথ দেখাবে বাংলা। বিচ্ছিন্নতাবাদ, বৈষম্যকে দূর করতে হবে। ২০২১-এর ভোটে হারার পর বাংলাকে ভাতে মারার চেষ্টা করা হয়েছে।' সব ঠিক থাকলে কিছুদিনের মধ্যেই পঞ্চায়েত ভোট হবে। সেখানে অমিত শাহ-নরেন্দ্র মোদি বাংলায় সভা করবে বলে শোনা যাচ্ছে। সেই প্রসঙ্গে অভিষেক বলেন, '৪০ কেন ৫০০ সভা করুক, কিছু যায় আসে না। এর আগেও তো মিটিং করা হয়েছে।' অভিষেকের তোপ, ভোট এলেই বাংলার কথা মনে পড়ে কারও কারও।


আরও পড়ুন:বাম আমলে নিয়োগ পাওয়া শিক্ষক ! পরীক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা পোস্ট ঘিরে তোলপাড় সোশ্যাল