আবির দত্ত, সুকান্ত মজুমদার, বিজেন্দ্র সিংহ, কলকাতা: ললিত-যোগে (Smoke Cannister Incident At Parliament) হালিশহরের নীলাক্ষ আইচের (Halisahar College Student Connection) খোঁজ পেল এবিপি আনন্দ। গত এপ্রিলে একটি অনুষ্ঠানে ললিতের সঙ্গে পরিচয়, দাবি নীলাক্ষ আইচের। পুরুলিয়ায় আদিবাসীদের শিক্ষা নিয়ে কাজ করা এনজিও-র সঙ্গেও যুক্ত নীলাক্ষ। সংসদ ভবনের বাইরে বিক্ষোভের ভিডিও শেয়ার করা হয়েছিল হালিশহরের কলেজ ছাত্রকে, সূত্রের খবর এমনই।


কী জানা গেল?
সংসদে 'স্মোক' অ্যাটাক নিয়ে তোলপাড় দেশ। আলোড়িত হচ্ছে রাজনীতি। এই অবস্থায়, 'স্মোক' অ্যাটাকে  উঠে আসছে 'বং-কানেকশন'। সংসদে স্মোক হামলার ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত ললিত ঝা। তাঁর সঙ্গে বাংলার যুবক নীলাক্ষ আইচের যোগ আগেই পাওয়া গেছিল। এবার, নীলাক্ষর পুরুলিয়া-কানেকশন সামনে এল। সূত্রের দাবি,  নীলাক্ষ আইচের একটি সংগঠন আছে। নাম, 'সাম্যবাদী সুভাষ সভা'। পুরুলিয়ার বাগমুন্ডির বিশ্বপতি কুইরিকে করা হয়েছিল এই সংগঠনের সভাপতি।বাগমুন্ডির তুনতুরী গ্রামে ফ্রি-কোচিং সেন্টার চালান বিশ্বপতি কুইরি। সূত্রের দাবি, মাস খানেক আগে সোশাল মিডিয়ায় তাঁর সঙ্গে পরিচয় হয় এই নীলাক্ষ আইচের। নীলাক্ষ বলেন, ফ্রি-কোচিং সেন্টার চালানোতে সাহায্য করবেন তিনি। সেই মতো,'সুভাষ পাঠচক্র' নামে ফ্রি-কোচিং সেন্টারও চালু হয়েছিল। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, দিন পনেরো ধরে বন্ধ রয়েছে এই ফ্রি-কোচিং সেন্টার। এদিন, বাগমুন্ডিতে গেলেও বিশ্বপতি কুইরির দেখা মেলেনি। বন্ধ ছিল তাঁর মোবাইল ফোন। 


যা বলেন...
এবিপি আনন্দকে ফোনে নীলাক্ষ বলেন, 'ললিত ঝা বলে যিনি রয়েছেন, উনি ওনার হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর থেকে আমাকে পার্লামেন্ট অ্যাটাক যেটা হয়েছিল, যেটা রাস্তায় হয়েছিল, সেটার একটা ভিডিও তুলে উনি আমাকে পাঠিয়েছিল।' বিধাননগর গভনর্মেন্ট কলেজের ইংরেজি অনার্সের ছাত্র নীলাক্ষ আইচের দাবি, ঘটনার পরপরই, সংসদে বাইরে স্মোক ক্যান দিয়ে স্লোগানের ভিডিও তাঁর হোয়াটসঅ্যাপে পাঠান খোদ ললিত ঝা! তাঁকে সেই ভিডিওটি সংক্রান্ত মিডিয়া কভারেজ দেখতে বলেন। সেই নীলাক্ষ আইচেরই হদিশ পায় এবিপি আনন্দ। টেলিফোনে প্রথমে যোগাযোগের পর এবিপি আনন্দ পৌঁছে যায় কলেজ ছাত্রের বাড়িতে। কী ভাবে নীলাক্ষর সঙ্গে আলাপ হল ললিতের? কেনই বা সংসদের এই ভিডিও তাঁকে পাঠাতে গেল সন্দেহভাজন ললিত? কলেজছাত্র বলেন, 'আমাদের সঙ্গে এপ্রিল মাসে ওঁর পরিচয় হয়। একটা সেমিনারে, সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউয়ে। ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন হলে। সেখানে ওঁর সঙ্গে আমার পরিচয় হয়। আমি ওঁকে দেখতে পাই।'  নীলাক্ষের দাবি,ললিত তাঁকে জানিয়েছিলেন, তিনি কলকাতায় থাকে। কিন্তু ঠিক কোথাকার বাসিন্দা, সেটা স্পষ্ট করে বলেননি। 
তিনি কী কাজ করেন, সে ব্যাপারে কোনও ইঙ্গিত ছিল? কলেজছাত্রের বক্তব্য, 'না উনি আমাকে সেই ব্যাপারে কিছু শেয়ার করেননি, কিছু বলেনওনি, উনি এরকম কিছু প্ল্যান করছে। ওঁর কথা শুনে কখনও কিছু মনেও হয়নি।' ইতিমধ্যেই নীলাক্ষ আইচের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে দিল্লি পুলিশ। যে কোনও ধরনের তদন্তে সহযোগিতা করার জন্য প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন কলেজ পড়ুয়া।


আরও পড়ুন:সীমান্তে বানচাল চোরাচালানের চেষ্টা, উদ্ধার ৯৩ লক্ষ টাকার সোনার বিস্কুট