সমীরণ পাল, দেগঙ্গা : উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Paragana) দেগঙ্গায় কুলসুর গ্রাম পঞ্চায়েতে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় (Pradhan Mantri Awas Yojana) দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। ২২ জন বাসিন্দার দাবি, তালিকায় নাম উঠলেও দেড় বছর ধরে তাঁরা টাকা পাচ্ছেন না। তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েতের এক সদস্যের বিরুদ্ধে কাটমানি নেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে। যদিও স্থানীয় প্রশাসনের দাবি, আবেদনের পদ্ধতিগত ত্রুটির কারণে সময় লাগছে।
কী অভিযোগ ?
কারও বাড়ির ছাউনি খড়ের, কারও বা টিনের। এরকমই ২২ জন স্থানীয় বাসিন্দার দাবি, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার তালিকায় নাম উঠলেও, তাঁরা দেড় বছর ধরে টাকা পাচ্ছেন না। যদিও প্রশাসনের দাবি, পদ্ধতিগত ত্রুটির কারণেই দেরি হচ্ছে।
আরও পড়ুন ; আবাস যোজনায় আবেদন গ্রামবাসীর, টাকা ঢুকল নেত্রীপুত্রের অ্যাকাউন্টে! বীরভূমে তুমুল বিক্ষোভ
উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গা থানার কলসুর গ্রাম পঞ্চায়েতের পাশাপাশি দু’টি গ্রাম ফকির পাড়া ও বিশ্বাস পাড়ার ২২ জন বাসিন্দা এই অভিযোগ করেছেন। তাঁদের অভিযোগ, নানা অছিলায় গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের উপপ্রধান টাকা আটকে রেখেছেন। পঞ্চায়েতের এক তৃণমূল সদস্যের বিরুদ্ধে উপপ্রধানের নাম করে কাটমানি নেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় বাসিন্দা মোস্তাফা মণ্ডল বলেন, পঞ্চায়েত সদস্য উপপ্রধানের নাম করে কাটমানি চেয়েছিলেন। করোনার সময় হাতে পয়সা ছিল না, তাই স্ত্রীর কানের দুল বন্ধক দিয়ে টাকা দিয়েছিলাম।
যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূলের উপপ্রধান। কলসুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ও তৃণমূল নেতা গফফার আলি মোল্লা বলেন, অভিযোগ ভিত্তিহীন। সুবিধাপ্রাপ্তরা ভুল কাগজপত্র জমা দেওয়ায় টাকা আটকে রয়েছে।
এ নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। বারাসাত সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সম্পাদক তরুণকান্তি ঘোষ বলেন, গোটা দেগঙ্গা জুড়ে সমস্ত গ্রাম পঞ্চায়েতে দুর্নীতিতে ছেয়ে গেছে। সাধারণ মানুষের টাকা আত্মসাত্ করে দালানকোঠা তৈরি করছেন তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যরা।
এদিকে কলসুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ও তৃণমূল নেতা অজয় বৈদ্য বলেন, এ সব বিরোধীদের উস্কানি।
দেগঙ্গার বিডিও’র দাবি, জমা দেওয়া নথিতে ভুলভ্রান্তির জন্যই টাকা আটকে রয়েছে। বিডিও সুব্রত মল্লিক বলেন, অনেক গ্রামেরই বহু বাসিন্দার প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় ঘর আটকে রয়েছে। কারণ তাঁদের আবেদনপত্রে তথ্য ভুল থাকার কারণে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। খুব শীঘ্রই সমস্যার সমাধান হবে।
জট কাটিয়ে কবে তাঁরা প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার টাকা হাতে পাবেন, সেদিকেই এখন তাকিয়ে ২২ জন আবেদনকারী।