সমীরণ পাল ও অনির্বাণ বিশ্বাস, ইছাপুর : ইছাপুরে তৃণমূল নেতা খুনে গ্রেফতার বিজেপি নেতা (BJP leader)। বিজেপি নেতা বিজয় মুখোপাধ্যায়কে গ্রেফতার (Arrest) করল পুলিশ। তৃণমূল নেতা সুশান্ত মজুমদারকে লক্ষ্য করে ২ রাউন্ড গুলি চলে। নিহত তৃণমূল নেতার ঘাড়ে গুলির চিহ্ন রয়েছে। মৃত্যু নিশ্চিত করতে কোপানো হয় তৃণমূল নেতাকে, এমনই অনুমান পুলিশের।
কিছুদিন আগে নোয়াপাড়াতেই (Noapara) বিজয় মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে গণ্ডগোল হয় সুশান্ত মজুমদারের। তখন বিজয় মুখোপাধ্যায় তাঁকে হুমকি দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ, ব্যারাকপুর-দমদম সাংগঠনিক জেলা সভাপতি পার্থ ভৌমিকের। সেই ভিত্তিতেই গতকাল রাতে বিজয় মুখোপাধ্যায়কে আটক করে পুলিশ। রাতেই তাকে গ্রেফতার করা হয়।
আরও পড়ুন ; মায়ের হাতে খুন সন্তান, বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক টের পাওয়ার জের
গতকাল বাড়ির কাছেই খুন হন তৃণমূল নেতা। রাত সোয়া ন’টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে উত্তর ২৪ পরগনার ইছাপুরের মানিকতলায়। প্রথমে গুলি। গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হওয়ায় মাথায় ধারালো অস্ত্রের কোপ মারা হয় বলে অভিযোগ। মৃতের নাম- সুশান্ত মজুমদার ওরফে গোপাল। তিনি নোয়াপাড়া শহর তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শনিবার রাতে পার্টি অফিস থেকে বাড়ি ফেরার সময় বাড়ির সামনেই ওই নেতার ওপর হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিত্সকরা।
মৃতের স্ত্রী উত্তর ব্যারাকপুর পুরসভার ৩ নং ওয়ার্ডের কো অর্ডিনেটর। পরিবারের দাবি, দীর্ঘদিন ধরেই টার্গেট ছিলেন গোপাল। ঘটনাকে নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আততায়ীরা কতজন ছিল তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। কারণ যে সিসিটিভি ফুটেজ সেখানে রয়েছে, তাতে শোনা যাচ্ছে গুলির শব্দ। তারপর কিছু মানুষ দৌড়ে যাচ্ছে। যেখানে ঘটনা ঘটেছে সেখানে অবশ্য কোনও সিসিটিভি নেই। দুষ্কৃতীরা পরিকল্পনা করেই খুনের ঘটনা সংগঠিত করেছে বলে তদন্তকারীরা মনে করছেন।