সমীরণ পাল, পানিহাটি : পানিহাটির তৃণমূল কাউন্সিলর (Panihati TMC Councillor) অনুপম দত্ত (Anupam Dutta) খুনের মামলায় চার্জ গঠন হল। তিন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে খুন, অস্ত্র আইন-সহ একাধিক ধারায় মামলা করা হয়েছে। নভেম্বর মাসে শুরু হবে শুনানি। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের পর, আরও একবার কঠোর শাস্তির দাবি তুললেন পানিহাটির নিহত তৃণমূল কাউন্সিলর অনুপম দত্তের স্ত্রী মীনাক্ষী দত্ত।
অনুপম দত্ত-হত্যা-
গত পুরভোটের ফল বেরনোর কয়েকদিন পর গত ১৩ মার্চ পাড়ার দোকানের সামনে পানিহাটির ৮ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর অনুপম দত্তকে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করে এক দুষ্কৃতী। ঘটনায় খুনের তদন্ত শুরু করে ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট। খুনের দু’দিনের মধ্যেই গ্রেফতার করা হয় শ্যুটার অমিত পণ্ডিত, মূল ষড়যন্ত্রকারী অমিতেরই আত্মীয় বাপি ওরফে সঞ্জীব পণ্ডিত-সহ ৩ জনকে। শুক্রবার ব্যারাকপুর মহকুমা আদালতে তিন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন হল। শুটার অমিত পণ্ডিতের বিরুদ্ধে ৩০২ ধারায় খুনের মামলা ও ২৫/২৭ অস্ত্র আইনে মামলা করা হয়েছে। বাপি ওরফে সঞ্জীব পণ্ডিত ও আরেক দুষ্কৃতী জিয়ারুল মণ্ডলের বিরুদ্ধে ৩০২ ধারায় খুন ও ১২০B ধারায় ষড়যন্ত্রের মামলা করা হয়েছে।
গত ২৯ অগাস্ট এই মামলায় মূল ষড়যন্ত্রকারী বাপির জামিন মঞ্জুর করে কলকাতা হাইকোর্ট। তারপরই উত্তাল হয়ে ওঠে উত্তর ২৪ পরগনার পানিহাটি। বিটি রোড অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা। ৯০ দিনের মধ্যে আদালতে চার্জশিট পেশ করে পুলিশ। ৫ মাসের মধ্যে মূল অভিযুক্ত জামিন পাওয়ায় পুলিশের ভূমিকায় প্রশ্ন উঠতে শুরু করে।
তবে এই মামলায় জামিন পেলেও খড়দা থানায় অস্ত্র কেনবেচার একটি মামলা থাকায় জেলমুক্ত হয়নি বাপি পণ্ডিত। সুপ্রিম কোর্টে তার জামিন খারিজের আর্জি জানান নিহত তৃণমূল কাউন্সিলরের স্ত্রী মীনাক্ষী। ৪ নভেম্বর সেই মামলার শুনানি হবে। উল্লেখ্য, ২০২০ সালে মাতঙ্গিনী হাজরা কলোনির ক্লাবের মাঠে পাঁচিল দেওয়া নিয়ে, নিহত তৃণমূল কাউন্সিলর অনুপম দত্তের সঙ্গে খুনে অভিযুক্ত বাপি পণ্ডিতের গন্ডগোলের সূত্রপাত বলে অভিযোগ। এর আগে মীনাক্ষী দত্ত অভিযোগ করেছিলেন, “বাপি পণ্ডিতের লোকজন হুমকি দিচ্ছে।’’ তার ভিত্তিতে তাঁর পরিবারের নিরাপত্তায় ১ জন পুলিশ কর্মী মোতায়েন করা হয়।
আরও পড়ুন ; পানিহাটির নিহত তৃণমূল কাউন্সিলরের স্ত্রীকে নিরাপত্তা ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের