সমীরণ পাল, হাবড়া( উত্তর ২৪ পরগনা) : মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের কোন্দল আরও তীব্র হল। এবার হাবড়া পঞ্চায়েত সমিতির এক সদস্যের বিরুদ্ধে পড়ল পোস্টার। সম্প্রতি তৃণমূল অঞ্চল সভাপতিদের আক্রমণ করেন দলীয় নেতা জাকির হোসেন। তারই জেরে এই পোস্টার বলে দাবি ওই তৃণমূল নেতার।
বুধবার দলের সাত অঞ্চল সভাপতির বিরুদ্ধে সোশাল মিডিয়ায় সরব হন উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়ার তৃণমূল নেতা জাকির হোসেন। ফেসবুকে বিস্ফোরক পোস্টের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে এই তৃণমূল নেতার বাড়ির কাছে পড়ে পোস্টার। পোস্টারে অভিযোগ করা হয়েছে, তৃণমূল নেতার সঙ্গে আইএসএফ ও বিজেপির যোগসাজশ রয়েছে। অন্যদিকে, তৃণমূলের যে সাত অঞ্চল সভাপতির বিরুদ্ধে মুখ খুলেছিলেন, সেই নেতারা এককাট্টা হয়ে জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে দাবি জানিয়েছেন দলের কাছে।
মসলন্দপুরের তৃণমূল কংগ্রেসের অঞ্চল সভাপতি কার্তিক সরকার বলেন, নিজের বুথকে হারিয়ে অন্যের অঞ্চলে মাতব্বরি করছে, দলকে বলব ওকে সাসপেন্ড করা হোক। পোস্টার এখনও কিছু পড়েনি আরও পড়বে ।
বেড়গুম তৃণমূল কংগ্রেস অঞ্চল সভাপতি অসিত নাগ বলেন, হুইপ করার এক্তিয়ার ওঁর নেই। শেষ বিধানসভা নির্বাচনে উনি আইএসএফের হয়ে কাজ করেছেন। এদের ঘাড়ধাক্কা দিয়ে বের করা উচিত।
সাত অঞ্চল সভাপতি পাল্টা তাঁকে নিশানা করলেও, তাতে আমল দিচ্ছেন না জাকির হোসেন। হাবড়া (১) পঞ্চায়েত সমিতি তৃণমূল নেতা ও সদস্য জাকির হোসেন বলেন, আমার জন্য যাদের তোলা তুলতে অসুবিধা হচ্ছে, তারা এটা করছে। তাদের বুথে কেন সিপিএম, আইএসএফ এগিয়ে, আমার আন্দোলন চলবে। দুই-চারটে পোস্টার মেরে বন্ধ করা যাবে না।
এদিকে বিতর্ক ক্রমশ বাড়তে থাকায় জাকির হোসেনকে তলব করেছে তৃণমূল নেতৃত্ব। বারাসাত সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অশনি মুখোপাধ্যায় বলেন, পোস্টারে কারও নাম নেই। কারা পোস্টার মারল দেখতে হবে।
ঘটনায় তৃণমূলকে কটাক্ষ করেছে বিজেপি। দলের বারাসাত সাংগঠনিক জেলার সম্পাদক সুজিত ঘোষ বলেন, তৃণমূল দল নয় সার্কাস। আমাদের সঙ্গে জাকিরের যোগাযোগ নেই। এটা ক্ষমতার লড়াইয়ের বিষয়।
সব মিলিয়ে বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের খাসতালুকে দলের নেতাদের মধ্যে আকচা-আকচি ঘিরে অস্বস্তি বাড়ছে তৃণমূলে।