সমীরণ পাল, জগদ্দল : অর্জুন সিংহের (Arjun Singh) দিল্লিযাত্রার সময়েই তাঁর বাড়ির কাছে জুটমিলে অচলাবস্থা। বন্ধ হয়ে গেল জগদ্দলের (Jagaddal) চাঁপদানি জুটমিলের একাংশ। পাট ও জলের অভাবের জন্য সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। কাজ হারালেন একটি ইউনিটের ৬৫০ জন শ্রমিক।


পাটের দাম নিয়ে কেন্দ্রের ভূমিকায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংহ। সাহায্য চেয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দেওয়ার পরদিনই দিল্লিতে তলব করা হয়েছে অর্জুন সিংহকে। শনিবার বিজেপি সাংসদ যখন দিল্লির পথে, তখন তাঁর বাড়ির কাছে একটি জুটমিলে তৈরি হল অচলাবস্থা। বন্ধ হয়ে গেল জগদ্দলের চাঁপদানি জুটমিলের একাংশ। পাট ও জলের জোগানের সমস্যার কারণ দেখিয়ে, শনিবার দুপুরে আচমকা মিলের ফাইন ইয়ার্ন ইউনিট বন্ধ করে দেওয়া হয়। মিলের এই ইউনিটে পাট মসৃণ করার কাজ করা হত। 


আরও পড়ুন ; 'বিরোধীরা যেন প্রার্থী না দিতে পারে, এটা ভোটও না পায়', তৃণমূল নেতার হুঁশিয়ারি ঘিরে তরজা


কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্তের ফলে কাজ হারালেন ৬৫০ জন শ্রমিক। প্রতিবাদে মিলের গেটে চলে বিক্ষোভ। চাঁপদানি জুটমিলের কর্মহীন শ্রমিক হারাধন দে বলেন, অনেক দিন ধরে জল থাকে না। গ্র্যাচুইটি, পিএফ দীর্ঘদিন দেয় না। নোটিস লাগিয়েছে জলের সমস্যার জন্য বন্ধ করছি।


চাঁপদানি জুটমিলের অপর এক কর্মহীন শ্রমিক মহম্মদ আশিক বলেন, জলের সমস্যা, পিএফের সমস্যা যা আছে তা মেটানো হোক। ৮ মাস ধরে সমস্যা মিটছে না। দ্রুত সমাধান হোক।


যদিও শ্রমিক সংগঠনগুলির দাবি, দ্রুত অচলাবস্থা কেটে যাবে। আইএনটিটিইউসি নেতা সুজিত সিংহ বলেন, পাটের সমস্যা দেখাচ্ছে। অনেক দিন ধরেই এটা বলছে। এই নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে চিঠি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। মিল খোলার চেষ্টা করছি। 


ব্যারাকপুর সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি সন্দীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব তৎপর। আমার বিশ্বাস, অচলাবস্থা কাটবে। নেতৃত্বের উপর ভরসা আছে। মিলটা তাড়াতাড়ি খুলে যাবে।
 
মিল মালিকদের অভিযোগ, কাঁচাপাটের কুইন্টাল পিছু দাম কেন্দ্রীয় সরকার বেঁধে দিলেও, সেই দামে পাট মিলছে না।


এই নিয়ে সরব হয়েছেন ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ।