সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগণা: টানা বর্ষণে নষ্ট হয়েছে গাঁদা ফুল। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পদ্মফুলের চাষ। তাই ঠাকুরনগর ফুল বাজারে ফুলের যোগান কম। এর ফলে লক্ষ্মী পুজো উপলক্ষে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে ফুল। যারা পাইকারি ক্রেতা তারাও বাধ্য হয়ে চড়া দামে ফুল কিনছেন। কিন্তু তাদের অভিযোগ চড়া দামে ফুল কিনলেও ফুলের গুণগতমান খুব খারাপ।
অপরদিকে, ফুল ব্যবসায়ীদের দাবি প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ফুলের যোগান কম সেই কারণে বাধ্য হয়ে তারা চড়া দামে ফুল বিক্রি করছেন। গাইঘাটা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি জানিয়েছেন, ফুলচাষীরা যাতে ফুল ঠিক মতো সংরক্ষণ করতে পারে সেই কারণে দ্রুত হিমঘরের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। কিন্তু লক্ষ্মী পুজোর সময় ফুল যে চড়া দামে বিক্রি হবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
কারণ ঠাকুরনগর ফুল বাজার থেকেই পাইকারি ক্রেতারা কলকাতা ও শহরতলীর বাজারে ফুল বিক্রি করে তারাই যেখানে চড়া দামে ফুল কিনছেন সেক্ষেত্রে খোলাবাজারে আরও বেশি দাম হবে ফুলের।
এদিকে, লক্ষ্মীপুজোয় বাজারেও আগুন। দাম বেড়েছে ফল থেকে সবজি সবকিছুরই। বাজার করতে গিয়ে নাভিশ্বাস মধ্যবিত্ত ক্রেতার। মানুষের বিশ্বাস, কোজাগরী পূর্ণিমায় স্বর্গ থেকে মর্ত্যে নেমে আসেন দেবী৷ যে ভক্ত রাত জেগে তাঁর আরাধনা করেন, তাঁকেই আশীর্বাদ করে যান তিনি৷ তাই লক্ষ্মীশ্রীর আরাধনায় কোনও রকম কার্পণ্য চান না কেউই৷ কিন্তু, ধনদেবীর আরাধনায় চিন্তা বাড়িয়েছে অগ্নিমূল্য বাজারদর৷ মাথায় হাত মধ্যবিত্তের। ফল-ফুল থেকে শাক-সব্জি। সব কিছুই আগুন।
গড়িয়াহাট বাজারে, কেজিপ্রতি ন্যাসপাতি বিকোচ্ছে ১২০ থেকে ১৩০ টাকায়। আপেল ১০০ থেকে ১২০ টাকা। পেয়ারার দর ৮০ থেকে ৯০ টাকা কেজি। শসা ৫০টাকা। এক টুকরো আখ কিনতে দিতে হচ্ছে ১০টাকা। সবজির দর তো আগে থেকেই চড়ছিল। লক্ষ্মীপুজোয় সেই বাজার এদিন আরও চড়া। গড়িয়াহাট মার্কেটে একপিস ফুলকপি ৩০ থেকে ৫০ টাকা। বাঁধাকপি ৫০ টাকায়। পটল ৬০ থেকে ৮০টাকা কেজি। বেগুন ৭০ থেকে ৮০ টাকা। ১ কেজি কড়াইশুঁটি কিনতে গুনতে হচ্ছে ৩০০ টাকা। সিম ২০০ টাকা কেজি। সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছে কাঁচালঙ্কা। খরচের চিন্তায় কপালে চিন্তার ভাঁজ। তা সত্ত্বেও ধনদেবীকে তুষ্ট করতে পিছপা হতে চান না কেউ।