সমীরণ পাল, উত্তর চব্বিশ পরগণা: একের পর এক প্রাকৃতিক দুর্যোগ। বর্ষার বৃষ্টির জল পুরোপুরি নামার আগেই ফের নিম্নচাপের বৃষ্টি। চূড়ান্ত দুর্ভোগে অশোকনগর-কল্যাণগড় পুরসভার ৯ ও ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দারা। চারদিকে জমা জল, পাটাতন ফেলে যাতায়াত করতে হচ্ছে। ঘুরে বেড়াচ্ছে সাপ, বিষাক্ত পোকামাকড়।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, জমা জলের কারণে চর্মরোগে ভুগতে শুরু করেছেন অনেকেই। গতকাল এলাকায় যান অশোকনগরের তৃণমূল বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামী। বাগজোলা খাল সংস্কার হলে এই সমস্যা মিটবে আশ্বাস দেন তিনি। তবে বর্ষা বিদায় নিলেও নিম্নচাপের জেরে ফের বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকায় আশঙ্কার প্রহর গুণছেন অশোকনগরের এই দুটি ওয়ার্ডের বাসিন্দারা।
আরও পড়ুন :
কেরলে বন্যায় সেকেন্ডের মধ্যে জলের তোড়ে ভেসে গেল আস্ত একটা বাড়ি !
এরই মাঝে ফের নিম্নচাপের ভ্রুকুটি। পূবালি হাওয়ার দাপটে কলকাতা-সহ সংলগ্ন জেলাগুলিতে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে। সেই সঙ্গে বইবে ঝোড়ো হাওয়া। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, কলকাতা, দুই ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, হাওড়া ও হুগলিতে ২০০ মিলিমিটার পর্যন্ত ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে। দক্ষিণবঙ্গের অন্য জেলাগুলিতেও ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তাই আতঙ্কে ভুগছে জেলা। বৃষ্টি হচ্ছে। কখনও কম। কখনও বেশি। চিন্তা বাড়ছে এলাকার মানুষদের। ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই দিনে দিনে আরও কঠিন করে তুলছে প্রকৃতি।
অপর দিকে, প্রশাসনের তরফে, দক্ষিণ ২৪ পরগনার নামখানার উপকূলবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের সতর্ক করে মাইকে প্রচার করা হচ্ছে। মত্স্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে দমকা হাওয়ার দাপট থাকবে।
অন্যদিকে, পশ্চিম মেদিনীপুরে বন্যায় কারও মাটির বাড়ি কাদার তালে পরিণত হয়েছে। কারও ঘরের দেওয়ালে বিরাট ফাটল! মাথার ওপর ছাদ ভেঙে পড়ার আশঙ্কা। এই পরিস্থিতিতে পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুর, ভগবানপুর, এগরা-সহ বন্যা বিধ্বস্ত এলাকার মানুষরা ফের ঘর ছেড়ে ত্রাণ শিবিরে যাচ্ছেন। উৎসবের আলো নয়, অনিশ্চয়তার নিকষ অন্ধকার গ্রাস করেছে তাঁদের।