ভাটপাড়া : 'বাইরের ক্রিমিনালদের সঙ্গে কার বেশি যোগাযোগ সেটা ব্যারাকপুরের মানুষ জানে।' ভাটপাড়ার তৃণমূল নেতা খুনে মূল অভিযুক্তর গ্রেফতারিতেও অর্জুন সিংহকে নিশানা করলেন পার্থ ভৌমিক। ভাটপাড়ায় তৃণমূল নেতা অশোক সাউ খুনে মূল অভিযুক্ত সুজল প্রসাদকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সুজল প্রসাদ ও সানি নামে দুই অভিযুক্তকে পাকড়াও করা হয়। গ্রেফতার করল ব্যারাকপুর কমিশনারেটের পুলিশ। তৃণমূল নেতা অশোক সাউ খুনে ধৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৪। অশোক খুনে উঠে আসে ২০২০ সালে নিহত আকাশ প্রসাদের ছোট ভাই সুজলের নাম। খুনের মূল অভিযুক্ত সুজল, অভিযোগ করে অশোক সাউয়ের পরিবার।
এনিয়ে অর্জুন সিংহকে নিশানা পার্থর
পার্থ বলেন, 'পুলিশ যে ভাল কাজ করছে তার প্রমাণ তো এটাই। একটা ঘটনা ঠেকানো সবসময় পুলিশের পক্ষে সম্ভব হয় না। কিন্তু দেখা উচিত যে, ঘটনা ঘটার পর যে মূল অপরাধী সে গ্রেফতার হচ্ছে কি না। বাইরের ক্রিমিনালদের সঙ্গে কার বেশি যোগাযোগ সেটা ব্যারাকপুরের মানুষ জানে। যাকে বিহার থেকে তুলে আনা হয়েছে, সে তো বিহারে শেল্টারে গিয়েছিল। বাইরের শেল্টার একজনই দিতে পারেন, যিনি প্রাক্তন সাংসদ ছিলেন। তাঁর শেল্টারেই তো সবাই থাকে। এই যে পঙ্কজ বলে যে ছেলেটি যে জেলে আছে, যার বিচার চলছে... সে তো অর্জুনের ডান হাত। সেই তো এসব অপারেট করাচ্ছে। অনুরোধ করেছি প্রশাসনকে যে এর সঙ্গে পঙ্কজের কোনো যোগাযোগ আছে কি না। '
১৩ নভেম্বর, ভাটপাড়া থানার অদূরে, জনবহুল এলাকায়, এক চায়ের দোকানে ঢুকে রীতিমতো ফিল্মি কায়দায় খুন করা হয় তৃণমূল নেতা অশোক সাউকে। প্রত্য়ক্ষদর্শীদের দাবি, খুনের পর, দুষ্কৃতীরা বলে ওঠে, 'বদলা লে লিয়া'। প্রথম থেকেই সন্দেহ জোরাল হতে থাকে।
২০২০-র ১৮ নভেম্বর, পিটিয়ে ও কুপিয়ে খুন করা হয় তৃণমূল সমর্থক আকাশ প্রসাদকে। সেই ঘটনায় নাম জড়ায় তৃণমূল নেতা অশোক সাউয়ের। যিনি সেই সময়, ভাটপাড়ার ১২ নম্বর বুথের তৃণমূলের সভাপতি ছিলেন।
এদিকে ঘটনায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বকে দায়ী করে পরিবার। পুলিশের বিরুদ্ধেও ক্ষোভ উগরে দেন নিহত তৃণমূল নেতার ভাই। তাঁর দাবি, খুনের ঘটনায় সরাসরি জড়িত রাজ পাণ্ডে। যিনি ভাটপাড়া পুরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর মনোজ পাণ্ডের ভাগ্নে। যাঁর বিরুদ্ধে পুলিশ অভিযোগ নিতেই চায়নি।
এই প্রেক্ষাপটেই পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে, NIA তদন্তের দাবি তুলেছিল নিহতের পরিবার।