কলকাতা: উত্তর ২৪ পরগনার সোদপুর মোড়ের নামকরণ করতে হবে তিলোত্তমা মোড়। এই দাবিকে সামনে রেখে আগামী এক মাস ধরে এক লক্ষ সই সংগ্রহ করবে সিপিএমের ছাত্র সংগঠন SFI। আর এই সই সংগ্রহ অভিযানে প্রথম সইটি করলেন নিহত চিকিৎসকের মা এবং বাবা। রবিবার আর জি কর-কাণ্ডের ১০০ দিন পূর্ণ হচ্ছে। তার আগে এদিন নিহত চিকিৎসকের বাড়িতে যান SFI-এর উত্তর ২৪ পরগনা জেলা কমিটির সদস্যরা। তাঁরা দীর্ঘক্ষণ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন।
আর জি করে তরুণী চিকিৎসকের খুন-ধর্ষণের বর্বরোচিত ঘটনার পর কেটে গেছে ৩ মাসের বেশি সময়। বিভীষিকাময় ৯ অগাস্টের ১০০ দিনের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে ফের একবার বিচারের দাবিতে রাজপথে পা মেলালেন অসংখ্য় মানুষ। কোথাও শত মোমবাতির আলো, কোথাও আকাশে উড়ল শত বেলুন। কোথাও ১০০ সেকেন্ড নীরবতা পালন করা হল। আর জি কর মেডিক্য়াল কলেজে নির্যাতিতার প্রতীকী অভয়া মূর্তির সামনে ১০০টি প্রদীপ জ্বালিয়ে এদিন প্রতিবাদের গান গাওয়া হয়। আর জি কর মেডিক্য়াল কলেজ চত্বরে মোমবাতি মিছিল করেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। কলকাতা মেডিক্য়াল কলেজে শনিবার বিকেলে জুনিয়র ডাক্তাররা একত্রিত হয়ে দ্রোহ গ্য়ালারির সামনে ১০০ মোমবাতিতে লেখেন - বিচারহীন ১০০ দিন। নীরবতা পালন করেন ১০০ সেকেন্ড। ওড়ানো হয় ১০০টি কালো সাদা বেলুন।
ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের সামনে ১০০ মোমবাতি জ্বালিয়ে প্রতিবাদ দেখান এসএসকেএমের জুনিয়র চিকিৎসকরা। কন্ঠে ছিল - আগুনের পরশমণি ছোঁয়াও প্রাণে। মশাল, মোমবাতি, জাতীয় পতাকা হাতে হাইল্য়ান্ড পার্ক থেকে গড়িয়া বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত মিছিলে নামে নাগরিক সমাজ। ব্য়ানারে লেখা ছিল - ফাইট ফর জাস্টিস। গড়িয়া বাস স্ট্যান্ড মোড়ে ১০০ সেকেন্ড নীরবতা পালনের পাশাপাশি মানব বন্ধন করেন তাঁরা।প্রাক্তনীদের সংগঠন সাউথ কলকাতা অ্যালুমনি কালেকটিভের তরফে রাসবিহারীতে গণ কনভেনশনের ডাক দেওয়া হয়। চিকিৎসক থেকে সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষেরা সেখানে উপস্থিত হয়ে বিচারের দাবিতে সোচ্চার হন। আর জি কর কাণ্ডের একশো দিন পার হওয়ার প্রাক্কালে ফের একবার প্রতিবাদে মুখর হল রাজপথ। সবাই বিচারের অপেক্ষায়। শিয়ালদা আদালতে শুরু হয়েছে বিচার প্রক্রিয়া।
এদিকে, কিছুদিন আগেই আর জি কর হাসপাতালের সুপারের অফিসের সামনে থাকা বহু পুরনো গাছ আচমকাই কেটে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। প্রায় আশি বছরের পুরনো গাছ কেটে নেওয়ায় প্রশ্ন উঠছিল। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষর নজরদারি ঘিরে প্রশ্ন। কার অনুমতিতে এবং কী প্রয়োজনে গাছ কেটে ফেলা হল, প্রশ্ন চিকিৎসকদের। আর জি কর হাসপাতালের নিউ সার্জারি ওটি-র ফলস সিলিং ভেঙে বিপত্তি। ফলস সিলিং ভেঙে পড়ায় অপারেশনের কাজ ব্যাহত। গত কয়েক মাস ধরে ফলস সিলিংয়ের অবস্থা খারাপ ছিল, অভিযোগ জুনিয়র চিকিৎসকদের।