সমীরণ পাল, বারাসাত( উত্তর ২৪ পরগনা) : উত্তর ২৪ পরগনায় ফের ঊর্ধ্বমুখী করোনা সংক্রমণের গ্রাফ। এরই মধ্যে জেলাজুড়ে ধরা পড়ল অসচেতনতার ছবি। আর তা নিয়ে উৎসবের আগে কপালে চিন্তার ভাঁজ প্রশাসনের।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অক্টোবরেই দেশে শিখর ছুঁতে পারে করোনার তৃতীয় ঢেউ। কিন্তু, তা সত্ত্বেও উত্তর ২৪ পরগনা জেলা জুড়ে দেখা গেল অসচেতনতার ছবি। বারাসাত থেকে হাবড়া, বনগাঁ থেকে গোপালনগর, পথচলতি মানুষের মুখে নেই মাস্ক। নেই সুরক্ষাবিধি ! এপ্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হলে কেউ বললেন, মাস্ক পরাই আছে। গরম লাগছে, তাই নামিয়েছি। কেউ বললেন, ভ্যাকসিন কমপ্লিট। আবার কাউকে কাউকে বলতে শোনা গেল, ঘেমে গেছি বলে খুলে ফেলেছি।
এদিকে বারাসাতের তিতুমীর বাসস্ট্যান্ডে দেখা গেল বাসে যাত্রীদের ভিড়। অথচ অনেকেরই মুখে নেই মাস্ক। বনগাঁ, হাবড়া এলাকায় তো রাস্তাতে মাস্ক পরার বালাই নেই ! হাতে গোনা লোকজনের মুখে দেখা যায় মুখবন্ধনী।
গত কয়েকদিন ধরেই উত্তর ২৪ পরগনায় বাড়ছে সংক্রমণ। দৈনিক আক্রান্তের নিরিখে কলকাতার পরই রয়েছে এই জেলা। উৎসবের আগে বাসিন্দাদের গা-ছাড়া মনোভাবে উদ্বিগ্ন পুর-প্রশাসন। বারাসাত পুরসভার প্রশাসক সুনীল মুখোপাধ্যায় বললেন, অনেক প্রচার করেছি। কোনও কাজ হচ্ছে না।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে ভয়াবহ আকার নেয় উত্তর ২৪ পরগনার করোনা পরিস্থিতি। হাসপাতালে হাসপাতালে বেডের আকাল, অক্সিজেনের অভাবে রোগীমৃত্যুর অভিযোগ ওঠে। এই পরিস্থিতিতে তৃতীয় ঢেউয়ের সতর্কতার মধ্যেই এই উদাসীনতা উদ্বেগ বাড়াচ্ছে।
উত্তর ২৪ পরগনার প্রোটোকল মনিটরিং টিমের সদস্য বিবর্তন সাহা বলেন, আমাদের উত্তর ২৪ পরগনায় যে সংক্রমণ, তা ঊর্ধ্বমুখী থাকে। তার ওপর এতে আরও বাড়বে।
প্রসঙ্গত, করোনকালে রাজ্যে সবথেকে বেশি সংক্রমিতের সংখ্যা উত্তর ২৪ পরগনায়। মোট আক্রান্ত প্রায় ৩ লক্ষ ২৪ হাজার। যেখানে কলকাতায় মোট সংক্রমিত প্রায় ৩ লক্ষ ১৫ হাজার। গত কয়েকদিন ধরেই দৈনিক সংক্রমণ একশোর ঊর্ধ্বে।