সমীরণ পাল, বনগাঁ : অর্জুন সিংহর পর এবার শান্তনু ঠাকুর (Shantanu Thakur)। ফের এক সাংসদের তহবিলের টাকা ফেরানোর অভিযোগ তৃণমূল (TMC) পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে! কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রীর অভিযোগ ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। বিজেপি সাংসদকে এলাকায় দেখা যায় না বলে পাল্টা কটাক্ষ করেছে তৃণমূল।
বছর ঘুরলেই রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট। ২০২৪-এর লোকসভা ভোটের আগে, আসন্ন সেই নির্বাচনকে ঘিরে এখন থেকেই কার্যত সেমিফাইনালের উত্তেজনা। এরই মধ্যে গ্রামবাংলার উন্নয়নে অর্থ বরাদ্দ ও খরচ নিয়ে কখনও তৃণমূল বনাম তৃণমূল, আবার কখনও বিজেপি বনাম তৃণমূল চাপানউতোর চলছে উত্তর ২৪ পরগনায়।
কী অভিযোগ সাংসদের ?
বনগাঁর বিজেপি সাংসদ ও কেন্দ্রীয় জাহাজপ্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের অভিযোগ, তাঁর সাংসদ তহবিলের টাকা কাজে লাগাতে চাইছে না তৃণমূল পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েত। তিনি বলেন, পঞ্চায়েতে টাকা দিয়ে আমি কাজ করাতে পারিনি বনগাঁয়। কেন পারিনি, শুধু পঞ্চায়েত আমার নয় তাই। আর কোনও কারণ নেই। সাংবিধানিক দিক দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয়, একজন সাংসদ তাঁর লোকসভায় কাজ করবে, এটা স্বাভাবিক ব্যাপার। সেখানে পঞ্চায়েত সেই টাকাটা আটকে দিল। কার লাভ হল ? লাভ হল টিএমসি-র। কেন লাভ হল ? সাংসদ কাজ করাচ্ছে না, টাকা দিচ্ছে না। কিন্তু আমার কাছে তো টাকা আছে। ডিএম-এর কাছে যে স্লিপ পৌঁছেছে কাজের, কাজের যে তালিকা আছে, তাও আমার কাছে আছে। কোথা থেকে রিটার্ন হয়ে ফিরে এসেছে, জেলাশাসক অনুমোদন দিয়েছেন, সব আমি সময়মতো শো করব। এতে পার পাবে না পঞ্চায়েত।
আরও পড়ুন ; চিটফান্ডকাণ্ডে নজরে তৃণমূল বিধায়ক সুবোধ অধিকারী, একাধিক জায়গায় সিবিআই-তল্লাশি
যদিও এনিয়ে বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি ও বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস বলেন, কেন্দ্রের মন্ত্রী। বড় বড় প্রকল্প এনে এখানে দিন। রাজ্য সরকার না করতে চাইলে আমরা বুঝব সেটা। উনি এলাকায় আসেন না। ওঁর চেহারা ভুলে গিয়েছে মানুষ।
এর আগে গ্রামের উন্নয়নে তৃণমূল নেতা অর্জুন সিংহের সাংসদ তহবিলের টাকা ব্যবহার করতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল জগদ্দলের তৃণমূল বিধায়ক সোমনাথ শ্যামের বিরুদ্ধে। একটি ভাইরাল অডিও ক্লিপ ঘিরে তুঙ্গে উঠেছিল সেই বিতর্ক। যদিও ওই অডিওর সত্যতা যাচাই করেনি এবিপি আনন্দ।
এবার শান্তনু ঠাকুরের অভিযোগে আবার সামনে এল সেই প্রশ্ন- উন্নয়ন আগে না রাজনীতি ?