সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়ায় বন দফতরের অভিযানে উদ্ধার ২৯২ টি কচ্ছপ( turtles)। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বারাসত বন দফতর (Barasat) শুক্রবার ভোরে হাবড়া এলাকা থেকে ২৯২ টি কচ্ছপ উদ্ধার করে নিয়ে আসে।কচ্ছপগুলিকে বারাসত রথতলা রেঞ্জ অফসেই রাখা হয়েছে।কচ্ছপগুলি পাচারের উদ্দেশ্যেই নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল বলে বন দফতর সূত্রে খবর।রেঞ্জ অফিসার ভাস্কর জ্যোতি পালের নেতৃত্বেই এই অভিযান চলে শুকবার ভোরে।
এদিন ভোরে অভিযান চালিয়ে ২৯২ টি কচ্ছপ উদ্ধার করে বারাসত রথতলা এলাকায় বন দফতর অফিসে নিয়ে আসা হয়।তবে এই ঘটনায় অভিযুক্ত কাউকে আটক করতে পারেনি। কারণ এই কচ্ছপগুলি হাবরা এলাকায় বস্তার মধ্যে ভরে রাখা হয়েছিল। গোপন সূত্রে এ কথা জানতে পারে বন দফতর সেই এলাকায় অভিযান চালায় এবং কচ্ছপগুলি উদ্ধার করে নিয়ে আসে।কচ্ছপগুলিকে পরে কোন জলাশয়ে ছেড়ে দেওয়া হবে বলে বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে।পাশপাশি এই ঘটনায় যে বা যারা যুক্ত তাদের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে বলেও জানা গিয়েছে।
উল্লেখ্য, গত বছরের ডিসেম্বরে নৈহাটি স্টেশনে ট্রেনে চল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার হয়েছিল বেশ কিছু কচ্ছপ। এই কচ্ছপগুলির আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় ৪ লক্ষ টাকা। শিয়ালদাগামী ডাউন গোরক্ষপুর পূর্বাঞ্চল এক্সপ্রেস নৈহাটি স্টেশনে পৌঁছায় ঠিক তখন ট্রেনে উঠে পড়েছিলেন জিআরপি ও আরপিএফের আধিকারিকরা। গোপন সূত্রে পাওয়া খবরের ভিত্তিতে ওই ট্রেনে তল্লাশি চালানো হয়েছিল । ট্রেনের মধ্যে বিপুল পরিমাণ ব্যাগ দেখে সন্দেহ হয় জিআরপি এবং আরপিএফ কর্তাদের । এরপর ওই ব্যাগ খুলতেই বেরিয়ে আসে কচ্ছপ । এরপর আরও পাঁচটি ট্রলি ব্যাগ উদ্ধার করা হয় । তারপর ওই ব্যাগের মালিককে খুঁজে পান নৈহাটি জিআরপি ও আরপিএফ এর আধিকারিকরা। তাঁর নাম বিক্রম বলে জানা যায়। জিআরপি তরফ থেকে বিক্রম ও তার পরিবারের ৬ জনকে নৈহাটি স্টেশনে জিআরপি অফিসে নিয়ে আসা হয় । বিক্রমকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে জানা যায়, তাঁর বাড়ি উত্তরপ্রদেশের সুলতানপুর এলাকায়। তাঁর সঙ্গে ৬ জন মহিলা ও একজন শিশুও ছিল । তাঁদের আটক করা হয়। জিআরপির সূত্রে জানানো হয়েছে যে কচ্ছপ গুলো উদ্ধার হয়েছে তার আনুমানিক বাজার মূল্য ৪ লক্ষ টাকা ।