সমীরণ পাল, বনগাঁ (উত্তর চব্বিশ পরগনা): বনগাঁয় (Bangaon) বিজেপির (BJP) ভাঙন অব্যাহত। দু-হাজারের বেশি নেতা-সমর্থক যোগ দিলেন তৃণমূলে (TMC)। দলবদলের ইঙ্গিত পেয়ে আগেই চারজনকে বহিষ্কার করেছে বিজেপি। কাজ করা যাচ্ছিল না। দলবদলের পর দাবি কয়েকজন নেতা-নেত্রীর। 


বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাসের তৃণমূলে প্রত্যাবর্তনের পরই ছবিটা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল।উত্তর চব্বিশ পরগনার বনগাঁয় বিজেপির ভাঙন অব্যাহত থাকল শুক্রবারও। এদিন বনগাঁর বাটার মোড়ে, বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন দু’হাজারেরও বেশি নেতা-কর্মী ও সমর্থক । এঁদের মধ্যে রয়েছেন বিজেপির বনগাঁ পুর উত্তর মণ্ডলের সভাপতি শোভন বৈদ্য এবং সহ সভাপতি শর্মিষ্ঠা বর্ধন। বনগাঁ পুর দক্ষিণ মণ্ডলের বিজেপি সম্পাদক মণিশঙ্কর পোদ্দার এবং সাধারণ সম্পাদক দেবাশিস ঘোষ। 


তৃণমূলে যোগদানকারী বিজেপি নেত্রী  শর্মিষ্ঠা বর্ধন বলেছেন,এখানে কাজ করা যাচ্ছে না, তাই তৃণমূলে ফিরে এসেছি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের পাশে থাকতে চাই।


যদিও বিজেপির তরফে দাবি করা হচ্ছে, তৃণমূলে যোগদানের আগেই চার নেতা-নেত্রীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বিজেপির বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা সহ সভাপতি দেবশ্রী বিশ্বাস বলেছেন, এঁরা বহুদিন ধরে দলবিরোধী কাজ করছিল, আগেই বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। তৃণমূল থেকে এসেছিলেন, সুবিধা করতে পারেনি।  তাই আবার তৃণমূলে ফেরত গিয়েছেন।


তৃণমূল কংগ্রেসের বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার  সভাপতি আলোরানি সরকার বলেছেন, অন্য দল থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে আসছেন, এরকম আরও অনেকেই আসবেন।


গত শুক্রবার তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন বিজেপির বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার দুই বহিষ্কৃত নেতা-নেত্রী।এবার দলবদলের আঁচ পেয়ে আগেভাগেই চার নেতা-নেত্রীকে বহিষ্কার করল গেরুয়া শিবির। 


উল্লেখ্য, বিধানসভা ভোটের আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদানের কার্যত হিড়িক পড়েছিল। তৃণমূল ছেড়ে গেরুয়া শিবিরে নাম লিখিয়েছিলেন বেশ কিছু নেতা-নেত্রী। কিন্তু বিধানসভা ভোটে ২০০ জন আসন নিয়ে রাজ্যে বিজেপির ক্ষমতা দখলের স্বপ্ন ভেস্তে গিয়েছে। এরইমধ্যে তৃণমূল বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় তৃতীয়বারের জন্য ফিরেছে। ভোটের ফল ঘোষণার পর এখনও পর্যন্ত বিজেপির তিন বিধায়ক তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন।