সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: করোনা আবহে বারাসাতের কালীপুজো নিয়ে গতকাল পুজো উদ্যোক্তাদের সঙ্গে বৈঠক করল পুলিশ প্রশাসন। প্যান্ডেল কীরকম হবে, কোথায় প্রতিমা থাকবে, কীভাবে ভিড় সামাল দেওয়া হবে, তা নিয়ে দেওয়া হয়েছে প্রয়োজনীয় নির্দেশ। প্রশাসনের নির্দেশিকা মেনে চলার আশ্বাস দিয়েছে উদ্যোক্তারা।
দুর্গাপুজোয় লাগামছাড়া আনন্দে ভাটা পড়েছিল করোনা সচেতনতায়। মাস্কহীন মুখের সারি। সোশাল ডিসট্যান্সিংয়ের নামগন্ধ না থাকা। আর এসবের জেরেই গত কয়েকদিনে কলকাতার করোনা গ্রাফ ফের বাড়তে শুরু করেছে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।
এই পরিস্থিতিতে এবার সামনে কালী পুজো।উত্তর ২৪ পরগনার বারাসাত বরাবরই কালী পুজোর জন্য বিখ্যাত। বিশাল বিশাল মণ্ডপ, চোখ ধাঁধানো আলোকসজ্জা আর বাঁধ ভাঙা ভিড়...এসবই হল বারাসাতের কালী পুজোর ইউএসপি।
কিন্তু করোনা আবহে গত বছরের মতো, এবারও কালীপুজোয় করোনাবিধি কঠোরভাবে মেনে চলার নির্দেশ দিল প্রশাসন। শুক্রবার বারাসাতের পুজো উদ্যোক্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন বারাসাত পুলিশ জেলার সুপার।
করোনা আবহে প্যান্ডেল কী রকম হবে, কোথায় প্রতিমা থাকবে,ভিড় কীভাবে সামাল দেওয়া হবে,কীভাবে করোনাবিধি মানতে হবে, এসব নিয়েই বিস্তারিত আলোচনা হয় বৈঠকে।
করোনা আবহে গত বছর বারাসাতের কালীপুজোর বহর কিছুটা কমলেও, এবার মণ্ডপের আকার আগেরবারের থেকে বড় হবে, তা জানিয়ে দিয়েছেন পুজো উদ্যোক্তাদের অনেকেই। পাশাপাশি প্রশাসনের নির্দেশ এবং করোনাবিধিও অক্ষরে অক্ষরে পালন করা নিয়ে আশ্বাস দিয়েছেন তাঁরা।
এমনই এক পুজো উদ্যোক্তা বলেছেন, আমরা গতবারের মতোই পুজোর বন্দোবস্ত করব। প্যান্ডেল একটু বড় হতে পারে। তবে দানধ্যানের দিকে নজর থাকবে। করোনাবিধি মেনে চলা হবে। আমাদের সকলের ভ্যাকসিন হয়ে গিয়েছে।
দুর্গা পুজো মিটতেই কলকাতায় দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে। এই প্রেক্ষাপটে বারাসাতের কালীপুজো নিয়েও প্রশাসনকে সতর্ক থাকার দাবি জানিয়েছে বিজেপি।
বিজেপির বারাসাত সাংগঠনিক জেলার সহ সভাপতি শঙ্কর দাস বলেছেন, পুজোর পর যাতে সংক্রমণ বেড়ে না যায়, সেদিকে নজর দিতে হবে।
বারাসাতের পুর প্রশাসক সুনীল মুখোপাধ্যায় বলেছেন, হাইকোর্টের নিয়ম মেনে যাতে করা হয় সেদিকে নজর রাখব।
করোনাবিধি না মেনে মণ্ডপ তৈরি করলে, পুজোর অনুমতি বাতিল করে দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে বারাসাত পুরসভা।