সমীরণ পাল, বসিরহাট (উত্তর ২৪ পরগনা): কানাডিয়ান হাঁস পাচারের সময়ে বসিরহাটে পুলিসের জালে ধরা পড়ল বসিরহাটের বাসিন্দা দুই যুবক। ধৃতদের কাছ থেকে  উদ্ধার করা হল ৬টি কানাডিয়ান হাঁস।


 বাংলাদেশ থেকে আনা মূল্যবান কানাডিয়ান হাঁস নিয়ে পাচারের সময়ে বসিরহাট থানার পুলিসের হাতে ধরা পড়ল ওই দুই যুবক।  বসিরহাটের ইছামতী সেতুর উপর দুই বাইক আরোহীর কাছে বড় বড় থলে দেখে পুলিসের সন্দেহ হয়। এরপরই বসিরহাটের দক্ষিন বাগুন্ডি গ্রামের বাসিন্দা দুই যুবক রুহুল আমিন মিস্ত্রি ও রবিউল মিস্ত্রিকে আটক করে পুলিশ। তল্লাসির সময়ে লক্ষাধিক টাকা মূল্যের ৬ টি কানাডিয়ান হাঁস উদ্ধার করে পুলিশ। এরপর পুলিশ ওই দুই যুবককে গ্রেফতার করে। তাদের কাছে বাজেয়াপ্ত হাঁসগুলি বন দফতরের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।


উদ্ধার হওয়া কানাডিয়ান বড় বুনো হাঁসগুলির এক-একটির ওজন ৫ থেকে ৬ কিলোগ্রাম। কালো মাথা ও ঘাড়ে সাদা রঙের ওই হাঁসের চোয়ালের নীচে সাদা ও বাদামী রঙের হয়ে থাকে।  এরা উড়তেও পারে।


জেরার মুখে ধৃতেরা জানায় তারা বাংলাদেশ থেকে আনা ওই হাঁসগুলি হাড়োয়ার এ পশু-পাখি পাচারে জড়িত এক ব্যক্তির কাছে বিক্রির উদ্দেশ্যে নিয়ে যাচ্ছিল। ধৃতদের দাবি, বাংলাদেশ থেকে আনা এক একটি হাঁসের বর্তমান বাজার দর ১৮ থেকে ২০ হাজার টাকা।


উল্লেখ্য,   কিছুদিন আগেই কোচবিহারে জাতীয় সড়কে নাকা চেকিং এর সময় উদ্ধার হয়েছিল বিদেশি  প্রজাতির কুকুর ও বিড়াল।   ৮ টি বিড়াল ও ১৫ টি কুকুর পাচারের আগেই উদ্ধার করেছিল কোতয়ালি থানার পুলিশ। জেলার পুলিশ সুপার দেবর্ষি দত্ত জানিয়েছিলেন, জলপাইগুড়ি কোতয়ালি থানার পুলিশ নাকা তল্লাশির সময় জলপাইগুড়ি থেকে আসামগামী ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কে ওই  কুকুর ওবিড়ালগুলিকে উদ্ধার করে।পাঞ্জাব থেকে নাগাল্যান্ড পাচারের জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল ওই কুকুর ও বিড়ালগুলিকে। পাচারেই আগেই পুলিশ উদ্ধার করে ওই কুকুর ও বিড়ালগুলিকে। যাদের কাছ থেকে ওই কুকুর ও বিড়ালগুলি উদ্ধার করা হয়েছে, তাদের কাছে কোনও বৈধ কাগজপত্র ছিল না । এরপর পুলিশ এই কুকুর ও বিড়ালগুলো উদ্ধার করে।   এর মধ্যে ছিল পার্সিয়ান ক্যাট এবং পাগ ,বিগল, গোল্ডেন রিট্রেভার ,ল্যাবরেডর সহ বেশ কয়েকটি প্রজাতির কুকুর ।