সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা : ফের অবৈধ সম্পর্ক নিয়ে অশান্তির জেরে স্বামীকে খুনের (Murder) অভিযোগ উঠল স্ত্রীর বিরুদ্ধে। স্বামীকে নিজের বাড়িতে ডেকে নিয়ে এসে অত্যাচার করার পর খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল শ্বশুরবাড়ির লোকেদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে গাইঘাটা (Gaighata) থানার গাতি এলাকায়।


আরো পড়ুন - Weather Updates: কলকাতায় আগামী কয়েক ঘণ্টায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস, জারি কমলা সতর্কতা


পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে যে, মৃতের নাম সঞ্জয় সরকার। বনগাঁ থানার ঢাকা পাড়ার বাসিন্দা বছর বিয়াল্লিশের সঞ্জয়কে খুন করে গলায় দড়ি বেঁধে ঝুলিয়ে দিয়েছেন তাঁর স্ত্রী এবং শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। পুলিশের কাছে এমনটাই অভিযোগ জানিয়েছেন সঞ্জয়ের পরিবারের সদস্যরা। স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, তেরো বছর আগে সঞ্জয় সরকারের সঙ্গে বিয়ে হয় গাইঘাটার গাতির বাসিন্দা স্বপ্না সরকার হালদারের। স্বপ্না এবং সঞ্জয়ের এগারো বছরের একটি ছেলেও রয়েছে। বিয়ের পর থেকেই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে নানা বিষয়ে ঝামেলা অশান্তি লেগেই থাকত বলে জানাচ্ছেন দম্পতির প্রতিবেশীরা। শুধু তাই নয়, অশান্তির কারণে একসময় সঞ্জয় বাড়ি ছেড়ে ভিন রাজ্যে কাজ করতেও চলে গিয়েছিলেন। গত শুক্রবার ভিন রাজ্য থেকে বাড়িতে ফিরে আসেন তিনি। মৃতের পরিবারের সদস্যরা দাবি করেছেন যে, সঞ্জয় বাড়ি ফেরার পরই ফের স্ত্রীর সঙ্গে তাঁর ঝামেলা শুরু হয়ে যায়। অশান্তি মারাত্মক পর্যায়ে পৌঁছলে স্বপ্না তাঁর বাপের বাড়ি চলে যান। বাপের বাড়ি চলে গেলেও সেদিনই সঞ্জয়ের স্ত্রী তাঁকে ফোন করে নিজের বাড়িতে ডাকেন। এরপরই রবিবার সকালে সঞ্জয়ের শ্বশুরবাড়ি থেকে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। 


আরও পড়ুন - Howrah: লিলুয়ায় স্ত্রী ও প্রেমিকের বিরুদ্ধে স্বামীকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ


পুলিশের কাছে মৃত সঞ্জয়ের পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ জানিয়েছেন যে, নিজের বাড়িতে ডেকে স্বপ্না এবং তাঁর পরিবারের লোকেরা সঞ্জয়কে মারধর করেছেন। পাশাপাশি স্বামীকে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া মতোও অভিযোগ জানিয়েছেন তাঁরা। তাঁরা আরও অভিযোগ করেছেন যে, স্বপ্নার বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। স্ত্রীর অবৈধ সম্পর্কের কারণেই সঞ্জয়ের সঙ্গে তাঁর অশান্তি লেগেই থাকত। রবিবার সঞ্জয়ের দাদা প্রদীপ সরকার গাইঘাটা থানায় সঞ্জয়ের স্ত্রী, শ্বশুর, শাশুড়ি এবং শালার স্ত্রীর নামে অভিযোগ জানান। প্রদীপ সরকারের অভিযোগের ভিত্তিতেই স্বপ্না সরকার ও তাঁর মা লক্ষ্মী হালদারকে এদিন গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতদের বনগাঁ মহকুমা আদালতে তোলা হলে তাঁদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন সঞ্জয়ের পরিবার। ঘটনায় ইতিমধ্যেই এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।