সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: ভরসন্ধ্যায় হাবড়ায় ব্যবসায়ীকে ছুরি মেরে খুনের ঘটনায় অভিযুক্তকে সোমবার রাতে ঘটনাস্থলে এনে পুনর্নির্মাণ করলো জেলা পুলিশ। তদন্তের স্বার্থেই এই পুনর্নির্মাণ করা হয়। উপস্থিত ছিলেন জেলা পুলিশের এস ডিপিও রোহেদ শেখ। ঘটনার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে মূল অভিযুক্ত সমীর সরকারকে গ্রেফতার করে হাবরা থানার পুলিশ। বর্তমানে পুলিশ হেফাজতে রয়েছে অভিযুক্ত। সোমবার ঘটনার পুনর্নির্মাণ করতে পুণরায় সেই ব্যবসায়ী পার্থসারথি দোকানে নিয়ে আসা হয় অভিযুক্তকে। 


প্রসঙ্গত, উত্তর ২৪ পরগনা জেলার হাবরা থানার হাবড়া শ্রীপুর এলাকার ব্যবসায়ীকে সন্ধেবেলায় গলায় ছুরি দিয়ে আঘাত করে খুনের ঘটনায় গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্ত সমীর সরকার । স্থানীয়রা তড়িঘড়ি হাবরা হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত্যু হয় ব্যবসায়ী শ্রীপুর এলাকার পার্থসারথি বিশ্বাসের। বাদুড়িয়ার এক গুরু ভাইয়ের বাড়ি থেকে মূল অভিযুক্ত কে আটক করা হয়। স্থানীয়রা অভিযুক্তের উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানিয়েছে।


উল্লেখ্য, ঘটনার দিন চিৎকার শুনে ছুটে গিয়েছিলেন দোকানের কর্মীরা। সিঁড়ি দিয়ে উঠতেই দেখেন, দোকানের মেঝেয় কাতরাচ্ছেন পার্থসারথি বিশ্বাস। উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়া বাজারে আসবাবপত্রের ব্যবসায়ীকে খুনের অভিযোগ ওঠে স্বর্ণ ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে। মৃত বছর ৪২-এর পার্থসারথী বিশ্বাস। 


ঠিক কী ঘটেছিল ওইদিন সন্ধ্যায়? মৃত ব্যবসায়ীর দোকানের এক কর্মীর দাবি, সেদিন  সন্ধে ৬টা নাগাদ, দোকান থেকে চিৎকার শুনতে পান তিনি। ছুটে গিয়ে দেখেন রক্তাক্ত অবস্থায় কাতরাচ্ছেন পার্থসারথী। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে, স্কুটার ফেলে চম্পট দেন অভিযুক্ত ব্যবসায়ী সমীর সরকার। 
গুরুতর জখম অবস্থায় পার্থসারথী বিশ্বাসকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। 


কিন্তু কী কারণে ভরসন্ধেয় স্বর্ণব্যবসায়ীর হাতে খুন হতে হল আসবাবপত্রের ব্যবসায়ীকে?পুলিশ সূত্রে খবর, পার্থসারথী বিশ্বাসের কাছ থেকে ১৮ লক্ষ টাকা ধার নেন অভিযুক্ত সমীর সরকার। টাকা মেটানো নিয়ে টানাপোড়েন চলছিলই। এরইমধ্যে কিছুদিন আগে ব্যাঙ্কে ৬০ লক্ষ টাকা ঋণ নেন সমীর। অভিযোগ, তা জানতে পেরে চাপ দিয়ে ২৮ লক্ষ টাকার চেকে সই করিয়ে নেন পার্থসারথী। এরপরই বচসা চরমে ওঠে। পুলিশ সূত্রে খবর, ১৮ লক্ষ টাকাকে কেন্দ্র করেই বচসা থেকে খুন।