সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: বারাসাতে (Barasat) পর এবার দেগঙ্গা (Deganga) কার্তিকপুর আদর্শ উচ্চ বিদ্যাপিঠ। স্কুল খুলতেই ছড়াল সংক্রমণ। ছড়িয়ে পড়া রুখতে তড়িঘড়ি বন্ধ করে দেওয়া হল স্কুলের পঠন পাঠন। সূত্রের খবর, করোনা আক্রান্ত (Corona Affected) হয়েছেন স্কুলের শিক্ষিকা ও তাঁর পরিবার। তার আগে ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে ক্লাস করেছেন বাংলার শিক্ষিকা। আর এই ঘটনায় ওই স্কুল শিক্ষিকার সহকর্মী শিক্ষক-শিক্ষিকা থেকে শুরু করে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। ইতিমধ্যে প্রশাসনিকভাবে স্কুলের স্যানিটাইজেশনের কাজ শুরু করা হয়েছে। পাশাপাশি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রয়েছে স্কুলের পঠন-পাঠন।


সম্প্রতি স্কুল খুলতেই পূর্ব বর্ধমানে (East Burdwan) করোনা (Coronavirus) আক্রান্ত হলেন প্রধান শিক্ষক। শুধু তাই নয়, আরও দু'জনের করোনা পজিটিভ (Covid Positive)। এই ঘটনার জন্য দু' দিনের জন্য বন্ধ হয়ে যায় স্কুল (School)।


করোনার কারণে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর খুলেছে স্কুল। আর স্কুল খোলার পর কয়েক দিন যেতে না যেতে প্রধান শিক্ষক সহ দুজন শিক্ষক করোনা আক্রান্ত। দুদিনের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হল পূর্বস্থলীর নীলমণি ব্রহ্মচারী ইনস্টিটিউশন। আক্রান্ত প্রধান শিক্ষকসহ কম্পিউটার শিক্ষক এর সংস্পর্শে যেসব ছাত্রছাত্রী এসেছে সকলকেই আজ করানো পরীক্ষা করা হবে।


করোনা পরীক্ষা পরীক্ষা করানো হবে স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকাদের তারপরেই সিদ্ধান্ত নেয়া হবে স্কুল কত দিন বন্ধ রাখা হবে।আজ  সকাল থেকে চলছে স্কুল চত্বরে স্যানিটাইজেশন এর কাজ।


অন্যদিকে করোনার (covid 19) কারণে পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া (katwa) পূর্বস্থলীর নীলমণি উচ্চবিদ্যালয়ের পর এবার পূর্বস্থলীর সাবিত্রী বালিকা বিদ্যালয় বন্ধের সিন্ধান্ত নিল প্রশাসন। ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা করোনা আক্রান্ত হওয়ায় এই সিদ্ধান্ত। আজ থেকে বন্ধ করে দেওয়া হল স্কুল।


পূর্বস্থলী বিধায়ক তপন চট্টোপাধ্যায় বলেন আপাতত দুটো স্কুল বন্ধ থাকবে। স্বাস্থ্য আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে কবে স্কুল খোলা হবে। পরপর দুটো স্কুলের শিক্ষক এবং শিক্ষিকারা করোনা আক্রান্ত হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্কিত ছাত্রছাত্রীরা। পূর্বস্থলী হাসপাতালের BMOH প্রশান্ত সরকার জানান, ঐ শিক্ষিকা গতকাল কোভিড টেস্ট করিয়েছিলেন আজ তার রিপোর্ট পজিটিভ আসে, ওনাকে হোম আইসোলেশন  রেখে চিকিৎসা করা হচ্ছে।  স্কুলে আর কয়েকজন শিক্ষিকাও এদিন কোভিড টেস্ট করিয়েছেন তাদের রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে।