সমীরণ পাল, ব্যারাকপুর (উত্তর ২৪ পরগনা): মহাত্মা গাঁধীর মৃত্যুদিনে (Mahatma Gandhi  death anniversaryt) ব্যারাকপুরে (Barrackpore) রাজ্যপাল (Governor) জগদীপ ধনকড়ের ডাকেও মঞ্চে উঠলেন না রাজ্যের বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক (Jyotipriyo Mallick)। বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংহ মঞ্চে থাকায় তিনি মঞ্চে উঠতে আপত্তি করেছেন বলে জানিয়েছেন জ্যোতিপ্রিয়। পাল্টা জবাব দিয়েছেন অর্জুন সিংহ। আর এই ঘটনায় দুই পক্ষকেই বিঁধেছেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী। 


জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক অর্জুন সিংহকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেছেন। তিনি বলেছেন, সরকারি অনুষ্ঠান। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে এসেছি। প্রোটোকল পালন করেছি। কিন্তু রাজ্যপালের ডানদিকে বসেছিলেন একজন প্রফেশনাল কিলার। 


ইছাপুরের তৃণমূল নেতা খুনের প্রসঙ্গে টেনে জ্যোতিপ্রিয়র অভিযোগ, এই ঘটনা যার ইশারাতে হয়েছে, তিনি রাজ্যপালের ডানদিকে বলেছিলেন। আমি রাজ্যপালকে বলেছি। উনি আমার পিঠে হাত রেখে বললেন, এমনটা হওয়া উচিত নয়। কিন্তু গাঁধীজীর মৃত্যুদিনে আমরা তাঁকে শ্রদ্ধা জানাতে এসেছি। এমন একটা দিনে এমন লোকের মঞ্চে থাকা খুবই লজ্জাজনক। 


অর্জুনকে পাশে নিয়ে রাজ্যপাল পুরোটাই রাজনীতি করে গেলেন বলেও অভিযোগ করেছেন জ্যোতিপ্রিয়। 


পাল্টা জ্যোতিপ্রিয়কে আক্রমণ করেছেন অর্জুন সিংহ। তিনি বলেছেন, অর্জুনের মতো মানুষের থেকে আর কী আশা করা যায়।  প্রায় দুবছর পর জেলা শাসকের আমন্ত্রণে তিনি অনুষ্ঠানে এসেছেন। অর্জুন জ্যোতিপ্রিয়র বিরুদ্ধে পাল্টা খুনের অভিযোগ এনেছেন। তাঁর অভিযোগ, লক্ষ লক্ষ টাকা লুঠপাঠের জন্য জ্যোতিপ্রিয়কে খাদ্যমন্ত্রক থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। আর তাঁর বিরুদ্ধে যে সব মামলার কথা বলা হচ্ছে তা কোর্টে ধোপে টেকেনি। আর তাঁর বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ ওঠার পরও চারবার তৃণমূল তাঁকে টিকিট দিয়েছিল। তখন জ্যোতিপ্রিয় কোথায় ছিলেন?


এই প্রসঙ্গে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেছেন, জ্যোতিপ্রিয়  ঠিকই বলেছেন। কিন্তু মনে রাখতে হবে, তৃণমূলের ছাতার তলাতেই বড় হয়েছিলেন অর্জুন সিংহ। অর্জুন সিংহদের সঙ্গে একই ছাতার তলায় ছিলেন জ্যোতিপ্রিয়ও। 


উল্লেখ্য, উত্তর ২৪ পরগনার ইছাপুরে তৃণমূল নেতা খুনে বিজেপি নেতাকে গ্রেফতার করল নোয়াপাড়া থানার পুলিশ। ধৃত বিজেপি নেতা বিজয় মুখোপাধ্যায়, এর আগে নোয়াপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক মঞ্জু বসুর স্বামী বিকাশ বসু খুনের ঘটনায় জেলও খাটেন বলে পুলিশ জানিয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, গতকাল ২ রাউন্ড গুলি চলে। নিহত তৃণমূল নেতা সুশান্ত মজুমদারের ঘাড়ে গুলির চিহ্ন রয়েছে। মৃত্যু নিশ্চিত করতে তাঁকে একাধিকবার কোপানো হয় বলে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান। তৃণমূলের অভিযোগ, অর্জুন সিংহর ইশারাতেই খুন করা হয়েছে উত্তর ২৪ পরগনার ইছাপুরে তাদের দলের নেতা সুশান্ত মজুমদারকে।