সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: ফের উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Paraganas) হাড়োয়া (Haroa)বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপিতে (BJP) ভাঙ্গন। তৃণমূলের (TMC) দাবি দুই শতাধিক বিজেপি কর্মী যোগ দিয়েছে তাদের দলে। উন্নয়নের স্বার্থে তৃণমূলে যোগদান বলে দাবি বিজেপিত্যাগীদের। ভয় দেখিয়ে দল বদলের অভিযোগ বিজেপি নেতৃত্বের।
বিধানসভা ভোটের পর থেকেই বিজেপিতে ভাঙন অব্যাহত। ফের উত্তর ২৪ পরগনায় ফাটল ধরল গেরুয়া শিবিরে। তৃণমূলের দাবি, হাড়োয়া বিধানসভার দেগঙ্গায় বিজেপি নেতা সহ প্রায় ২০০ কর্মী বুধবার যোগ দেন তাদের দলে। হাড়োয়ার বিধায়ক শেখ হাজি নুরুল ইসলামের হাতে থেকে তৃণমূলের পতাকা তুলে নেন যোগদানকারীরা।
দেগঙ্গার তৃণমূলে যোগদানকারী বিজেপি নেতা, কৃষ্ণ কর্মকার বলেছেন, দলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কোনও রকম যোগাযোগ রাখত না নেতৃত্ব। তাই দল বদল করে তৃণমূলে যোগ দিলাম।উন্নয়নের স্বার্থে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেছি।
দলবদলকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। বিজেপিরবসিরহাট সাংগঠনিক জেলার পর্যবেক্ষক প্রদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, শাসক দলের ভয়েই এই যোগদান।
হাড়োয়ার তৃণমূল বিধায়ক শেখ হাজি নুরুল ইসলাম বলেছেন, বাংলায় বিজেপি বলে কিছু থাকবে না। যেভাবে সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আর আমাদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কাজ করে চলেছেন, এখানে এ রাজ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ছাড়া সাধারণ মানুষ আর কাউকে ভাবতে পারবে না।
উত্তর ২৪ পরগনার মোট ৩৩ টি আসনের মধ্যে বিধানসভা ভোটে ২৮ টিই দখল করেছে তৃণমূল।সেখানেই ফের শক্তি বাড়াল শাসক দল।
উল্লেখ্য, বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপিতে যোগদানের কার্যত ঢল নেমেছিল। রাজ্যের বিভিন্ন এলাকাতেই তৃণমূল নেতা ও কর্মীদের একাংশ বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন তৃণমূলের কয়েকজন প্রথমসারির নেতাও। বিধানসভা ভোটে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে তৃণমূল তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় ফিরেছে। তারপর থেকে উল্টোস্রোত। বিভিন্ন দল থেকে তৃণমূল যোগদানের ঢল চলছে। ইতিমধ্যেই কয়েকজন দলত্যাগী নেতা তৃণমূলে ফিরেছেন। অন্যান্যে জেলাগুলির মতোই বিগত কয়েক মাস ধরে বিজেপি থেকে বিভিন্ন এলাকায় তৃণমূল যোগদানের পর্ব চলছে। এবার হাড়োয়াতেও বিজেপিতে ভাঙন দেখা দিল।