সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা (বাগদা): তিন দিনপর মগডালে বসেই কাছে থাকা চুরি দিয়ে নিজের গলা কেটে আত্মহত্যার চেষ্টা বাগদার যুবকের। গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি তিনি। গাছের মগডালে তিনদিন বসে থাকার পর নিজের কাছে থাকা ছুরি দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করল বাগদার সেই যুবক। গলায় গুরুতর আঘাত অবস্থায় স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে। এরপরই বনগাঁ মহাকুমা হাসপাতালে ভর্তি করেছে।
 প্রায় তিন দিন দীর্ঘ শিরিশ গাছের মগডালে উঠে বসে ছিল যুবক অমিতোষ হালদার । মাটি থেকে যার উচ্চতা প্রায় ৭০ ফুট। সঙ্গে একটি ব্যাগ। তার মধ্যে মুড়ি ও পানীয় জলের বোতল।  ঘটনাটি বাগদা থানার পাথুরিয়া এলাকার। স্থানীয়রা জানিয়েছেন পুলিশ দমকল ও গ্রামবাসীরা যুবককে গাছ থেকে নামাতে ব্যর্থ হওয়ার পর বুধবার সকালে গ্রামের মানুষেরা স্থানীয় পারমাদন ফরেস্ট এলাকার কয়েকজন গাছিকে খবর দেয়। এদিন দুপুরে তাঁরা গাছের নিচে এসে পৌঁছে গাছে ওঠার তোড়জোড় শুরু করেন। কিন্তু সেই সময় তাঁরা লক্ষ্য করেন যে যুবকের গলা দিয়ে রক্ত পড়ছে। এরপর এই যুবকের দ্রুত গাছ থেকে উদ্ধার করে নামিয়ে আনে তারা।


কিছুদিন আগেই পুলিশের মানবিকতার নিদর্শন পেয়েছিলেন উত্তর ২৪ পরগনার বাসিন্দারা। বিহারের এক মানসিক ভারসাম্যহীন যুবককে রাস্তা থেকে উদ্ধার করে, তাঁকে ঘরে ফিরিয়েছিল স্থানীয় পুলিশ।চলছিল নিয়মিত টহলদারি। উত্তর ২৪ পরগনার বাগদা থানার পুলিশ রবিবার রাতে নাটাবেড়িয়া এলাকায় সেই সময় এক যুবককে ঘোরাফেরা করতে দেখেন। সন্দেহ হওয়ায় তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে শুরু করে কর্তব্যরত পুলিশ অফিসাররা। খানিক কথা বলেই বুঝতে পারা যায় ওই যুবক আদতে বাঙালিই নন। যদিও সে নিজের নাম এবং বাড়ির মোবাইল নম্বর বলতে পেরেছে। ওই যুবককে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায়, বিহার থেকে কলকাতার উদ্দেশে রওনা দেয় সে। তবে এখানে পৌঁছে রাস্তা হারিয়ে অবশেষে বাগদায় এসে পৌঁছেছে ওই যুবক। বাগদা থানার তরফ থেকে বিহারে ওই যুবকের বাড়িতে ফোনে যোগাযোগ করা হয়। ফোন করে পরিবারকে জানানো হয় যে তাঁদের ছেলে বাগদা থানায় রয়েছে। ওই যুবকের নাম নীতীশ কুমার। তাঁর বাড়ি বিহারের সাহারশা এলাকার ধানুপুরা গ্রামে।