সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা : একাদশীর রাতে ইছামতীতে প্রতিমা বিসর্জন দেখে ফেরার পথে, উত্তর ২৪ পরনগার স্বরূপনগরে বেপরোয়া গতির বলি বাইক আরোহী ৩ তরুণ। গতকাল রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ এই ঘটনা ঘটে। ১৮, ২০ ও ২৩ বছরের ৩ তরুণ বাদুড়িয়ার আটুরিয়ার বাসিন্দা। মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে গ্রাম জুড়ে।                    


 পুলিশ জানিয়েছে, তিনজনের কারও মাথায় হেলমেট ছিল না। লাইটপোস্টে সজোরে ধাক্কা মেরে বাইক থেকে ছিটকে পড়ে যান তিনজন। হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁদের মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। রাজেশ দাস,  শুভঙ্কর দাস ও সহদেব দাস বসিরহাটের ইছামতি নদীর ঘাটে  প্রতিমা নিরঞ্জন দেখতে যান। এরপর  রাত সাড়ে এগারোটা নাগাদ এক বাইকে তিনজনই ফিরছিলেন। ছিল না হেলমেট। পুলিশ সূত্রে খবর, বাইকটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গোকুলপুর এলাকায় একটি ১১ হাজার ভোল্টের লাইট পোস্টে সজরে ধাক্কা মারে।  

স্বরূপনগর থানার পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁদের উদ্ধার করে বসিরহাট স্বাস্থ্য জেলা হাসপাতাল নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তিনজনকেই মৃত বলে ঘোষণা করেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান,  'তিনজনের মাথায় কোন হেলমেট ছিল না। তার উপরে গাড়ির গতিবেগ ছিল আশি থেকে নব্বই কিলোমিটার প্রতি ঘন্টায়। গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সজরে লাইট পোস্টে ধাক্কা মারে, যার কারণে এই তিন যুবকের মৃত্যু হয়।'


তিন যুবকের মৃত্যুর খবর পেয়ে আটুরিয়া দাসপাড়ায় গ্রামের শোকের ছায়া নেমে এসেছে। পথ নিরাপত্তা নিয়ে এত প্রচার সত্ত্বেও কেন এভাবে হেলমেট ছাড়া বাইক চালানো ? উঠছে প্রশ্ন। 


জাতীয় সড়কে দুটি কন্টেনারের সংঘর্ষে একজনের মৃত্যু


অন্যদিকে দুর্গাপুরের পানাগড়ে ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কে দুটি কন্টেনারের সংঘর্ষে একজনের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল রাত ৩টে নাগাদ কাঁকসা থানার বিরুডিয়ার কাছে দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্গাপুর থেকে পানাগড়গামী গ্যাস কন্টেনার ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কের ওপর চলন্ত কন্টেনারের পিছনে ধাক্কা মারে। কেবিনে আটকে পড়েন গ্যাস কন্টেনারের চালক। গ্যাস কাটার দিয়ে দরজা কেটে তাঁকে উদ্ধার করা হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে গেলে গ্যাস কন্টেনারের চালককে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। দুর্ঘটনার জেরে বেশ কিছুক্ষণ ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কের পানাগড়গামী লেনটি বন্ধ থাকে। 


আরও পড়ুন :


শান্তিনিকেতন হেরিটেজ হয়েছে রবীন্দ্রনাথের জন্য, কবিগুরুর নাম না ফেরালে...হুঁশিয়ারি মমতার