সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: ব্যারাকপুরে রোডে গাড়ি দুর্ঘটনা। একটি গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ধাক্কা মারে ব্যারাকপুর রোডে একজনকে ধাক্কা মেরে পালানোর চেষ্টা করে। সেই সময় স্থানীয় ২ জন বাইক নিয়ে সেই গাড়িটিকে ধরবার জন্য ধাওয়া করে। কিন্তু সেই সময় ব্যারাকপুর ছেড়ে, সারাদা মিশন রোড ধরে পালানোর চেষ্টা করে। সেই মুহূর্তে আরও ৪ জনকে ধাক্কা মারে সেই গাড়িটি। এরপর গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নবপল্লী টিউবয়েলে কাছে একটি পোস্টে ধাক্কা খেয়ে উল্টে যায়। গাড়িতে থাকা দুজন ধরা পড়ে গেলেও বাকি দুজন পলিয়ে যায়। এরপর স্থানীয় বাসিন্দারা মারধর করে ও পরবর্তীতে বারাসত পুলিশ তাদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতাল ভর্তি করা হয়। চারজনের মধ্যে, এক আক্রান্ত মহিলা পরবর্তীতে হাসপাতালে মারা যান।
গতকালই বালিতে আরও একটি পথ দুর্ঘটনা হয়েছিল। কানে হেডফোন লাগিয়ে বেপরোয়া গতিতে যুবককে ধাক্কা গাড়ি চালকের। বালির কাছে স্কুটারে থাকা এক ব্যাক্তিকে ধাক্কা মারেন এক মহিলা। রেল ব্রিজ টপকে ৪০ ফুট নিচে পড়ে যান ওই ব্যাক্তি। আশঙ্কাজনক অবস্থায় আহত ব্যাক্তিকে কলকাতায় নিয়ে আসা হয়। মহিলা গাড়ি চালককে আটক করেছে পুলিশ।
কিছুদিন আগেই রাতের শহরে ফের বেপরোয়া গতির বলি হয়েছিলেন এক বাইক আরোহী। রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ মহেশতলার সম্প্রীতি উড়ালপুলে দুর্ঘটনাটি ঘটে। ডাকঘরের কাছে চন্দননগরে উড়ালপুলের গার্ডওয়ালে ধাক্কা মেরে নিচে রাস্তায় পড়ে যান হেলমেটহীন বাইক চালক। বজবজ ইএসআই (ESI) হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। ২৩ বছরে সুদীপ মণ্ডল বেহালা পর্ণশ্রী থানা এলাকার বাসিন্দা।
এছাড়াও কিছুদিন আগে বিদ্যাসাগর সেতুর টোল প্লাজায় দুর্ঘটনা হয়েছিল। সকাল দশটা নাগাদ কলকাতা থেকে হাওড়াগামী একটি দূরপাল্লার বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি মুরগি ভ্যানে ধাক্কা মারে। এর পর ফের আরও একটি গাড়িকে ধাক্কা মারে। এই ঘটনায় দু-জন ব্যক্তি আহত হয়েছেন।
তাদের নিয়ে যাওয়া হয়েছে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে। দুর্ঘটনার ফলে বাসের সামনের অংশের কাজ ভেঙ্গে যায়। দুমড়ে-মুচড়ে যায় বাসটি। বাসটিকে শিবপুর থানার পুলিশ আটক করেছে। পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে অনুমান বাসটি ব্রেক ফেল করার কারণেই এই দুর্ঘটনা। এর জেরে বিদ্যাসাগর সেতুর মাঝের লেনে যান চলাচল ব্যাহত হয়।