সমীরণ পাল, দেগঙ্গা: একে গত কয়েকদিনের বৃষ্টিপাতের জেরে জল থই থই অবস্থা। তার উপর রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে ছাদ থেকে চাঙড় ভেঙে ভেঙে পড়ছে। সব মিলিয়ে বিপজ্জনক অবস্থায় দেগঙ্গার (Deganga) বিশ্বনাথপুর হাসপাতাল। যেকোনও মুহূর্তে ছাদের ভগ্নপ্রায় অংশ ভেঙে পড়তে পারে। তাই আতঙ্কে হাসপাতালের মধ্যে দাঁড়িয়ে রয়েছেন রোগীরা।
আরও পড়ুন - North 24 Paragana: ফের জগদ্দলে দুষ্কৃতী দৌরাত্ম্য, বোমায় গুরুতর জখম ২ জন
স্থানীয় সূত্রে খবর, ব্লকের তেরোটি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে একমাত্র ভরসা বিশ্বনাথপুর হাসপাতাল। নানান সমস্যা নিয়ে বহু রোগীরা এই হাসপাতালের দ্বারস্থ হন। প্রতিদিন বহু রোগীর আগমন ঘটে। কিন্তু অতি জরুরি এই হাসপাতালের অধিকাংশ বিল্ডিংয়ের অবস্থা ভগ্নপ্রায়। রক্ষণাবেক্ষণের অভাবের কারণে ভেঙে ভেঙে পড়ছে ছাদের অংশ। তার উপর গত কয়েকদিন ধরে নাগাড়ে বৃষ্টি হওয়ার ফলে আরও শোচনীয় অবস্থা সেখানে। বৃষ্টিতে জলমগ্ন গোটা হাসপাতাল চত্বর। যেকোনও সময়ে চিকিৎসক থেকে হাসপাতালের কর্মী এবং রোগীদের মাথার উপর ভেঙে পড়তে পারে ভগ্নপ্রায় ছাদের অংশ। ফলে বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। তাই কার্যত আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন রোগীরা। জলমগ্ন হাসপাতালেই তাঁরা আতঙ্কে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। কখন কী বিপদ ঘটে যায়, কে বলতে পারে। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে অত্যন্ত প্রয়োজনীয় এই হাসপাতালের সংস্কারের দাবি তুললেন এলাকাবাসী থেকে রোগীর পরিজনরা।
আরও পড়ুন - North 24 Parganas: পুকুরে বিষ মিশিয়ে মাছ মেরে ফেলার অভিযোগ, লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি মৎস ব্যবসায়ীর
সূত্রের খবর, এই বিষয়ে যদিও ইতিমধ্য়েই দেগঙ্গা ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ ধীমান বন্দ্যোপাধ্যায় হাসপাতালের ভগ্নদশা নিয়ে স্বাস্থ্য ভবনে লিখিত আকারে জানিয়েছেন। পাশাপাশি পিডব্লিউডি ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের পক্ষ থেকে ২৯ লক্ষ টাকার একটি এস্টিমেটও তৈরি স্বাস্থ্য ভবনে পাঠানো হয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা যাচ্ছে। ফলে এই এস্টিমেট বরাদ্দ হলে যে খুব শীঘ্রই হাসপাতাল পুনঃর্নিমানের কাজ শুরু হবে বলে মনে করা হচ্ছে। পাশাপাশি দেগঙ্গার বিডিও সুব্রত মল্লিকও জানিয়েছেন যে, তাঁরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন এবং যত শীঘ্র সম্ভব ব্যবস্থাও নেওয়া হবে বলে।