সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Pargana) দেগঙ্গায় (Deganga) অবৈধ গ্যাসগোডাউনে জেলা এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের (Enforecement Branch) হানা। বাজেয়াপ্ত সরকারি ভর্তুকিযুক্ত ২৭টি রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডার। অভিযানের আগেই চম্পদ অবৈধ কারবারিদের। 


রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডারের দাম বাড়তে বাড়তে এখন ১ হাজার ৭৯ টাকা। একটা সিলিন্ডার কিনতে গিয়ে এখন হিমশিম খাচ্ছে মধ্যবিত্ত। কিন্তু, তার মধ্যে চলছে, সিলিন্ডারের অবৈধ মজুতদারি!


বৃহস্পতিবার যখন সন্ত্রাস দমনে, কলকাতা-সহ দেশের নানা প্রান্তে NIA ও ED একযোগে অভিযান চালাল, সেদিন দুপুরেই অন্য রকম অভিযান দেখল উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গার চটকাবেড়িয়া শেখপাড়া এলাকা। 



অবৈধ সিলিন্ডারের গুদামে হানা দিল জেলা এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের ১০ জনের দল। বাজেয়াপ্ত করা হল মজুত করা সিলিন্ডার, গ্যাসকাটার সহ একাধিক সরঞ্জাম। হাদিপুর ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য শেখ কবিনুর বলেন, ''পুলিশ, প্রশাসন, ডিইবি-র টিম এসেছে। এখানে গ্যাসের ব্যবসা করত একটা ছেলে।''


জেলা এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ সূত্রে খবর, শেখ রহমত আলি নামে এক ব্যক্তি ভর্তুকিযুক্ত রান্নার গ্যাসের অবৈধ কারবার ফেঁদে বসেছিলেন। ব্ল্যাকে বিক্রি করা হত মজুত করা গ্যাস সিলিন্ডার। রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডার থেকে ভ্যান এবং অটোতেও গ্যাস ভরা হচ্ছিল। যদিও, এদিনের অভিযানে অভিযুক্তদের কারও নাগাল পায়নি জেলা এনফোর্সমেন্ট ব্লাঞ্চ। অফিসাররা হানা দেওয়ার আগেই তারা পালিয়ে যায়।


উত্তর ২৪ পরগনা এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ সূত্রে খবর, মোট ২৭টি রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডার বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। অতীতেও এবিপি আনন্দর অন্তর্তদন্তে, উত্তর ২৪ পরগনার বিভিন্ন জায়গা থেকে সামনে এসেছে কাটা গ্যাসের কারবার। এবার তার পুনরাবৃত্তি হল দেগঙ্গাতেও।


উল্লেখ্য, কয়েক মাস আগে উত্তর ২৪ পরগনার মধ্যমগ্রামে স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা না করে বেআইনি পানীয় জলের কারখানা চালানোর অভিযোগ উঠেছিল। আজ সকালে কারখানায় হানা দেয় এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ। যদিও তার আগে পলাতক কারখানা মালিক। ইবি সূত্রে খবর, সিল করে দেওয়া হয়েছিল ওই কারখানাটি। একটি পানীয় জল তৈরির কারখানায় হানা দেয় বারাসাত পুলিশ জেলার এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ ও বারাসাতের ফুড সেফটি অফিসার। ইবি সূত্রে খবর, কারখানার মালিক সুপ্রভাত পাল তল্লাশি অভিযানের আগেই পালিয়ে যান। কারখানা থেকে মিলেছে রাসায়নিক। ৭০ থেকে ৮০টি জলের জার। ২ হাজারটি জারের ছিপি।  


উত্তর ২৪ পরগনার মধ্যমগ্রামে স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা না করে বেআইনি পানীয় জলের কারখানা চালানোর অভিযোগ। এরপরই কারখানায় হানা দেয় এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ। যদিও তার আগে পলাতক কারখানা মালিক। ইবি সূত্রে খবর, সিল করে দেওয়া হয়েছে ওই কারখানাটি।