সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: দত্তপুকুরে নামী সংস্থার মোড়কের আড়ালে নকল প্রসাধন সামগ্রীর গোডাউনের হদিশ। তল্লাশি চালিয়ে  এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল বারাসাত পুলিশ জেলার এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ। কবে থেকে চলছে এই কারবার? ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। 


 নামী সংস্থার মোড়কের আড়ালে নকল প্রসাধন সামগ্রী মজুতের অভিযোগ। উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Pargana) দত্তপুকুরে একটি গুদামে তল্লাশি চালিয়ে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল বারাসাত পুলিশ জেলার এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ। বাইরে থেকে দেখতে একেবারে আসলের মতো। তবে, এই দামী মোড়কের ভেতরেই রয়েছে ভেজাল প্রসাধন সামগ্রী।  


গোপন সূত্রে খবর পেয়ে, মঙ্গলবার দুপুরে দত্তপুকুরের স্টেশন রোডের সৃজনীপল্লির এই গোডাউনে তল্লাশি চালায় পুলিশ। হাতেনাতে পাকড়াও করা হয় কাজল মল্লিক নামে এক ব্যক্তিকে। উদ্ধার করা হয় বিপুল পরিমাণ ভেজাল প্রসাধন সামগ্রী। নামী সংস্থার লেবেল ও নগদ প্রায় ৫০ হাজার টাকা। যে বাড়ি ভাড়া নিয়ে চলত এই গুদাম, তার মালিকের দাবি এসবের কিছুই জানতেন না তিনি। 


দত্তপুকুর ১ নম্বর পঞ্চায়েত  প্রধানদেবযানী সরকারের কথায়, এবার থেকে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে। জানতামই না এসব চলত। ধৃতের আরেক সহযোগী মহম্মদ সাদিকের খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ।


সম্প্রতি মিনাখাঁয় (minakha) বাইক (bike) পাচার চক্রের হদিশ মেলে। সেই চক্রের দুই পান্ডাকে গ্রেফতারও করা হয়। ধৃতদের থেকে উদ্ধার করা হয় ১০টি চোরাই বাইক। ধৃত ২ জনকে জেরা করে তদন্ত চালিয়ে বড়সড় বাইক চুরির চক্রের সন্ধান পায় মিনাখাঁ থানার পুলিশ। ধৃতদের জিঞ্জাসাবাদ করে ইতিমধ্যে পুলিশ ১০টি চোরাই বাইক উদ্ধার করে।


অন্যদিকে আঙুলের ছাপ নিয়ে স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা তুলে নেওয়ার চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠেছে বর্ধমানের মিডভিউ নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে। সেই ঘটনায় এবার নার্সিংহোমে হানা দিল পুলিশ। পুলিশ সূত্রে দাবি, নার্সিংহোমে ১২৩টি স্বাস্থ্যসাথী কার্ড উদ্ধার হয়েছে। তার মধ্যে, নার্সিংহোমে ৪২জন রোগীকে পাওয়া গেলেও, ৮১ জন উপভোক্তার হদিশ মেলেনি। 


অভিযোগে নার্সিংহোমে (Nursing Home) হানা দিয়ে ১২৩টি স্বাস্থ্যসাথী কার্ড উদ্ধার করে পুলিশ (Police)। ঘটনায় আরও একজনকে গ্রেফতার (Arrest) করা হয়। অভিযোগ পেলে পৃথক তদন্ত করা হবে, জানান জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক।