সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: কাঁচরাপাড়ায় ভয়াবহ আগুন। আজ ভোর পাঁচটা নাগাদ কাঁচরাপাড়া পুরসভার হালিশহর ভূতবাগান এলাকায় ব্যবসায়ী সমিতির পরপর বেশ কয়েকটি দোকানে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড আগুন নিয়ন্ত্রণের দমকলের ৪টি ইঞ্জিন। মুহূর্তের মধ্যে ৯টি দোকানে আগুন লাগে। এরপরই আগুন ক্রমশ ছড়িয়ে পড়ে এলাকার মানুষ ও দমকল কাজে হাত লাগিয়েছে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে শর্ট সার্কিট থেকে প্রথমে কোন একটি দোকানে আগুন লাগে তারপর সেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে।
কাঁচরাপাড়ার ভূতবাগান এলাকায় বিধ্বংসী আগুন। ভস্মীভূত হয়ে যায় কাঠের আসবাব তৈরির বেশ কয়েকটি দোকান। ভোর সাড়ে ৫টা নাগাদ আগুন লাগে। স্থানীয়রাই প্রথমে আগুন নেভানোর কাজে হাত লাগান। দমকলের ৪টি ইঞ্জিনের একঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। শর্ট সার্কিট হওয়ায় আগুন ছড়ায় বলে প্রাথমিক অনুমান দমকলের।
এদিকে, গতকাল দোলের দুপুরে বিধ্বংসী আগুন ব্যারাকপুরে। ব্যারাকপুরের মোহনপুর থানার সূর্যপুরে একটি গেঞ্জির কারখানার আগুন লেগেছে। (Fire in Factory)। ঘটনাস্থলে দমকলের তিনটি ইঞ্জিন। গেঞ্জি মূলত রং করা হয় প্রচুর রাসায়নিক মজুত ছিল তা থেকে দুপুর তিনটে নাগাদ বিধ্বংসী আগুন লাগে।
উৎসবের দিনেই একের পর এক অগ্নিকাণ্ড রাজ্যে। এদিন দুপুরেই জানা যায় উত্তর ২৪ পরগনার হৃদয়পুরে আগুন লাগার ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। এদিকে দোলের দুপুরেই বিধ্বংসী আগুন ছড়ায় ব্যারাকপুরের একটি গেঞ্জি কারখানায়। উল্লেখ্য, বছর দুই আগে এইভাবেই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড হয়েছিল নিউ ব্যারাকপুরের একটি গেঞ্জি কারখানায়। আগুন নিয়ন্ত্রণের পর সেবার এসেছিল মর্মান্তিক খবর।
প্রসঙ্গত, আগুন লাগার ঘটনা অব্যহত। চলতি মাসেই গত ৫ তারিখেই একটি মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। নাকতলায় বন্ধ ফ্ল্যাটে আগুন লেগে ঝলসে মৃত্যু হয় খাঁচাবন্দি আটটি বিড়াল এবং একটি কুকুরের। মূলত গভীর রাতে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে কলকাতা ও জেলায় তিন তিনটি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। নাকতলার পাশাপাশি অগ্নিকান্ড ঘটেছে তিলজলা এবং বনগাঁতেও। এর মধ্যে নাকতলায় বন্ধ ফ্ল্যাটে পুড়ে মৃত্যু হয় খাঁচাবন্দি আটটি বিড়াল এবং একটি কুকুরের। নিছক দুর্ঘটনা, না অন্য কিছু, এই ঘটনাকে ঘিরে উঠছে প্রশ্ন। কারণ ফ্ল্যাটের মালকিন আবাসনের বাসিন্দাদের দিকে আঙুল তুলেছেন।
শনিবার রাত আড়াইটে নাগাদ আগুন লাগে নাকতলায় একটি ফ্ল্যাটবাড়ির একতলায়। চার তলা আবাসনের ওই তলায় কোনও ব্যক্তি থাকতেন না। সেখানে রাখা ছিল খাঁচাবন্দি আটটি বিড়াল এবং একটি কুকুর। আগুনে ঝলসে তাদের মৃত্যু রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।