উত্তর ২৪ পরগনা: দোলের দুপুরে বিধ্বংসী আগুন ব্যারাকপুরে। ব্যারাকপুরের মোহনপুর থানার সূর্যপুরে একটি গেঞ্জির কারখানার আগুন লেগেছে। (Fire in Factory)। ঘটনাস্থলে দমকলের তিনটি ইঞ্জিন। গেঞ্জি মূলত রং করা হয় প্রচুর রাসায়নিক মজুত ছিল তা থেকে দুপুর তিনটে নাগাদ বিধ্বংসী আগুন লাগে।
উৎসবের দিনেই একের পর এক অগ্নিকাণ্ড রাজ্যে। এদিন দুপুরেই জানা যায় উত্তর ২৪ পরগনার হৃদয়পুরে আগুন লাগার ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। এদিকে দোলের দুপুরেই বিধ্বংসী আগুন ছড়ায় ব্যারাকপুরের একটি গেঞ্জি কারখানায়। উল্লেখ্য, বছর দুই আগে এইভাবেই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড হয়েছিল নিউ ব্যারাকপুরের একটি গেঞ্জি কারখানায়। আগুন নিয়ন্ত্রণের পর সেবার এসেছিল মর্মান্তিক খবর।
প্রসঙ্গত, আগুন লাগার ঘটনা অব্যহত। চলতি মাসেই গত ৫ তারিখেই একটি মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। নাকতলায় বন্ধ ফ্ল্যাটে আগুন লেগে ঝলসে মৃত্যু হয় খাঁচাবন্দি আটটি বিড়াল এবং একটি কুকুরের। মূলত গভীর রাতে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে কলকাতা ও জেলায় তিন তিনটি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। নাকতলার পাশাপাশি অগ্নিকান্ড ঘটেছে তিলজলা এবং বনগাঁতেও। এর মধ্যে নাকতলায় বন্ধ ফ্ল্যাটে পুড়ে মৃত্যু হয় খাঁচাবন্দি আটটি বিড়াল এবং একটি কুকুরের। নিছক দুর্ঘটনা, না অন্য কিছু, এই ঘটনাকে ঘিরে উঠছে প্রশ্ন। কারণ ফ্ল্যাটের মালকিন আবাসনের বাসিন্দাদের দিকে আঙুল তুলেছেন।
শনিবার রাত আড়াইটে নাগাদ আগুন লাগে নাকতলায় একটি ফ্ল্যাটবাড়ির একতলায়। চার তলা আবাসনের ওই তলায় কোনও ব্যক্তি থাকতেন না। সেখানে রাখা ছিল খাঁচাবন্দি আটটি বিড়াল এবং একটি কুকুর। আগুনে ঝলসে তাদের মৃত্যু রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ওই ফ্ল্যাটের মালকিন কমলিকা গুপ্তের দাবি, এটা কোনও দুর্ঘটনা নয়, আগুন লাগানো হয়েছে। এবিপি আনন্দের মুখোমুুখি হয়ে কমলিকা বলেন,'আমাদের এখানে থাকতে দেওয়া হয় না। এমনকি প্রাণহানিও ঘটতে পারে। আগুন লাগার ঘটনা কাকতালীয় নয়। এর আগেও কুকুর-বিড়ালদের মারার চেষ্টা হয়েছে। এই নিয়ে থানার দ্বারস্থ হয়েছিলেন ফ্ল্যাটের মালিক।'
আরও পড়ুন, 'দিল্লির লস্যি খাবেন', দোলে অনুব্রত-র দিল্লি যাত্রা নিয়ে বার্তা দিলীপের
অন্য দিকে, সম্প্রতি বিধ্বংসী আগুন লাগে তিলজলা রোডে চামড়ার কারখানায়। কারখানা থেকে গলগল করে কালো ধোঁয়া বেরোতে দেখে দমকলে খবর দেন স্থানীয় বাসিন্দারা। দমকলের তিনটি ইঞ্জিনের ঘণ্টাদেড়েকের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। আগুন লাগার কারণ জানা যায়নি। শনিবার রাতে আগুন লাগে উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁর একটি দোকানেও। দেবগড় নেড়াপুকুর বটতলা এলাকার ওই অগ্নিকাণ্ডে লক্ষাধিক টাকা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে আশঙ্কা। দমকলের দু'টি ইঞ্জিনের ঘণ্টাদুয়েকের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এ ক্ষেত্রেও আগুন লাগার কারণ জানা যায়নি।