সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: বোমাবাজির  (Bombing) ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Pargana) ইছাপুরে। এলাকায় দুষ্কৃতী দৌরাত্ম্য নিয়ে সরব হয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পুলিশ জানিয়েছে, দুষ্কৃতীদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।


রবিবার রাতেই ঘর থেকে উদ্ধার হয়েছিল একাকী বৃদ্ধার নলিকাটা দেহ। নৃশংস এই হত্যাকাণ্ডের কিনারা এখনও হয়নি। তার রেশ কাটতে না কাটতে সেই উত্তর ২৪ পরগনার ইছাপুরে লোকালয়ের মধ্যে হল বোমাবাজি।


অব্যাহত দুষ্কৃতী দৌরাত্ম্য। মাঠের মধ্যে পড়ে রয়েছে বোমার টুকরো। উদ্ধার হয়েছে আরও কয়েকটি বোমা। এই ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে বিধানপল্লি খালপাড় এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রে খবর, সোমবার রাতে বিকট শব্দে কেঁপে ওঠে এলাকা। বাইরে বেরিয়ে কয়েকজন দেখতে পান মাঠের মধ্যে বোমার টুকরো পড়ে রয়েছে। এলাকাবাসীদের দাবি, বিভিন্ন সময়ে বাইরে থেকে দুষ্কৃতীরা এসে এলাকাকে অশান্ত করে।


বোমাবাজির খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে আসে নোয়াপাড়া ও জগদ্দল থানার পুলিশ। তারাই কয়েকটি তাজা বোমা উদ্ধার করে। পুলিশ জানিয়েছে, মাঠের মধ্যে ২টি বোমা ছুড়ে পালিয়েছে দুষ্কৃতীরা। অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। 


আরও পড়ুন: calcutta Medical College Agitation : করোনাকালে চাকরি পাওয়া চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের ছাঁটাই, বিক্ষোভে উত্তপ্ত কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ


উল্লেখ্য, গতকাল গরফা থানায় এক গৃহকর্ত্রীর দেহ উদ্ধার হয়। প্রথমে গৃহকর্তা। এরপর সাড়ে তিনমাসের ব্যবধানে একই বাড়ি থেকে উদ্ধার গৃহকর্ত্রীর (House wife) পচাগলা দেহ। গড়ফা থানার কেপি রায় রোডের বাড়ি থেকে গতবছরের নভেম্বরে গৃহকর্তা সংগ্রাম দে-র কঙ্কালসার দেহ উদ্ধার হয়। এবার উদ্ধার হল সংগ্রাম দে স্ত্রী অরুণার পচাগলা দেহ। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের (Kolkata Police) অনুমান, দিনদুয়েক আগে মহিলার মৃত্যু (Dead) হয়।


পুলিশের দাবি, বাবা-মার মৃত্যুর ব্যাপারে কাউকে কিছু জানাননি ছেলে কৌশিক দে। বাবার মৃতদেহ তিনমাস আগলে বসেছিলেন বলে পুলিশের দাবি । সেইসময় মানসিক বিকারগ্রস্ত কৌশিকের চিকিত্সা করানো হয় । এবার মায়ের দেহও আগলে বসেছিলেন ছেলে । কীভাবে মৃত্যু খতিয়ে দেখছে গরফা থানার পুলিশ।