সন্দীপ সরকার, কলকাতা : করোনার (Corona Pandemic) প্রকোপ কেড়ে নিয়েছিল অনেকের জীবন (Life)-জীবিকা (Lifelyhood)। করোনার প্রভাব ফিকে হওয়ার পরও এবার কোপ পড়ল চাকরিতে। করোনাকালে নিয়োগ হওয়া চুক্তিভিত্তিক অস্থায়ী কর্মীদের ছেঁটে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার (West Bengal Government)। আর যে সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হওয়ার পরই তীব্র বিক্ষোভে উত্তাল কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ (Calcutta Medical College)। কোভিড ওয়ার্ডে (Covid Ward) নিয়োগ হওয়া অস্থায়ী কর্মীদের (Temporary Employees) কাজে আসতে বারণ করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। আর যার পরই রোগী-সহায়কদের বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে হাসপাতাল প্রাঙ্গন।


চাকরি হারিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন চুক্তিভিক্তিক অস্থায়ী। তাদের দাবি, করোনাকালের কঠিন সময়ে হাসপাতালে কাজে সাহায্য করলেও এখন তাদের কথা বিন্দুমাত্র ভাবা হচ্ছে না। এদিকে, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বক্তব্য, অস্থায়ী চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের কাজে আসতে বারণ করার সিদ্ধান্ত তাদের নয়। রাজ্য সরকারের নেওয়া সিদ্ধান্ত বলবৎ করেছে তারা। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে করোনাকালে সাহায্যের জন্য ১৮ মাসের চুক্তিতে নিয়োগ করা হয়েছিল। আর সেই মেয়াদ শেষ হওয়ার পরই কাজে আসতে রোগী সহায়কদের বারণ করে দেওয়া  হয়েছে বলেই জানানো হয়েছে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পক্ষ থেকে।


কিছুদিন আগেই এসএসসি-র পরীক্ষার নোটিফিকেশন জারি-সহ সমস্ত শূন্যপদে নিয়োগের দাবিতে নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছিলেন চাকরিপ্রার্থীরা। যার জেরে কলেজ স্ট্রিটে তৈরি হয় উত্তেজনা। কলেজ স্কোয়ারে ব্যারিকেড করে মিছিল আটকায় পুলিশ। কলেজ স্ট্রিট থেকে মিছিল শুরু করেছিলেন চাকরিপ্রার্থীরা। কিন্তু সেখানেই পুলিশ তাঁদের আটকে দেয়। এরপরই ব্যারিকেড করে আটকে দেওয়া হয় তাঁদের। পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল যে এভাবে মিছিল করার কোনও অনুমতি নেই। কিন্তু চাকরিপ্রার্থীরা নবান্ন অভিযানের সিদ্ধান্তে অটল থাকে। মুহূর্তের মধ্যেই এলাকায় ধুন্ধুমার শুরু হয়ে এলাকায় । এসএসসি (SSC) চাকরিপ্রার্থীদের দাবি অবিলম্বে শূন্য পদে নিয়োগ করতে হবে। ফর্ম বের করতে হবে। কিন্তু সেই দাবি নিয়ে নবান্ন অভিযানের আগেই পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন বিক্ষোভকারীরা। পুলিশের সঙ্গে দফায় দফায় আলোচনা শুরু করে। কিন্তু সেই আলোচনায় কোনও সুরাহা হয়নি।


আরও পড়ুন- করোনাকালে ভারতে গরিব আরও গরিব হচ্ছে, ধনীরা উঠছে ফুলে? চাঞ্চল্যকর তথ্য অক্সফ্যামের রিপোর্টে