কলকাতা: রাজ্যে ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসের তদন্তে নেমে জগদ্দল থেকে রতন হালদার নামে এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল সিবিআই। অভিযোগ, ভোটের ফল ঘোষণার পর জগদ্দলের বাসিন্দা শোভারানি দাসের বাড়িতে হামলা চালায় কয়েকজন তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতী। শোভারানির ছেলে বিজেপি করেন। তাঁর ওপর হামলা হয়। ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে গুরুতর আহত হন শোভারানি। পরে তাঁর মৃত্যু হয়। ওই ঘটনায় এক অভিযুক্ত রতন হালদারকে গ্রেফতার করে হেফাজতে নিয়েছে সিবিআই।


উল্লেখ্য, ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসের তদন্তে জেলায় জেলায় ঘরছে সিবিআই টিম। কিছুদিন আগেই  পর উত্তর চব্বিশ পরগনাতেও যায় সিবিআই টিম। ভোট পরবর্তী হিংসার তদন্তে নেমে এদিন আরও এক তৃণমূল সমর্থকের বাড়ি যায় সিবিআই। দীর্ঘক্ষণ ধরে চলতে থাকে খুনের ঘটনার তদন্ত। এদিন জগদ্দলের ‘পুরানিয়া তালাব’ এলাকায়, নিহত আকাশ যাদবের পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে তথ্য সংগ্রহ করেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অফিসাররা। তাঁর পরিবারের অভিযোগ, তাঁকে খুন করার পিছনে হাত রয়েছে বিজেপির। অভিযোগ ওঠে অর্জুন সিংহের বিরুদ্ধে।


গতকালই ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস তদন্তে এবার প্রেসিডেন্সি জেলে যায় সিবিআই। কাঁকুড়গাছির বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকার হত্যা মামলায় ধৃত ৫ জনকে জেরা করতে এদিন প্রেসিডেন্সি জেলে যান সিবিআইয়ের তদন্তকারীরা। জেলে গিয়ে জেরা করার অনুমতি চাইতে এর আগে শিয়ালদা আদালতে আবেদন জানায় সিবিআই।


আদালতের অনুমতি নিয়েই এদিন প্রেসিডেন্সি জেলে হাজির হন সিবিআই অফিসাররা। সিবিআই সূত্রে খবর, ঘটনার দিন কী হয়েছিল, কারা উপস্থিত ছিল, কারও নির্দেশে হামলা হয়েছিল কি না, ধৃত ৫ জনের কাছে এসবই জানতে চাইবেন তদন্তকারীরা। সিবিআই সূত্রে খবর, একটি প্রশ্ন-তালিকাও তৈরি করা হয়েছে।


উল্লেখ্য, ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসের তদন্তে রাজ্য পুলিশের অফিসারদের তলব করা শুরু করেছেল সিবিআই। সোনারপুরে বিজেপি কর্মীকে খুনের অভিযোগে কালও সিজিও কমপ্লেক্সে তলব করা হয় সোনারপুর থানার তত্কালীন তদন্তকারী অফিসার সুজয় দাসকে। অভিযোগ, ভোটের ফল ঘোষণার দিন, পিটিয়ে মারা হয় বিজেপি কর্মী হারান অধিকারীকে। এই ঘটনায় আগেই গ্রেফতার করা হয় কয়েকজনকে।