সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা : তুমুল বৃষ্টিতে ভাসছে বাংলা। উত্তরবঙ্গের দুর্যোগ চলছে সেই বর্ষা-শুরু থেকে। এবার শুরু দক্ষিণবঙ্গে। মৌসুমী অক্ষরেখার প্রভাবের সঙ্গী হয়েছে গভীর নিম্নচাপ রেখা। সব মিলিয়ে দক্ষিণ বঙ্গের জেলা থেকে জেলা দুর্যোগময়। শনিবারও দফায় দফায় বৃষ্টি হয়েছে পুরুলিয়া পশ্চিম বর্ধমান মুর্শিদাবাদ ও বীরভূমে। জল থৈ থৈ অবস্থা উত্তর ২৪ পরগণাতেও।
প্রবল বৃষ্টিতে নৈহাটিতে ধরা পড়ল এক চাঞ্চল্যকর ছবি। জলে ভাসছে নৈহাটিতে স্কুল পরিদর্শকের অফিস। সরকারি
অফিসের গুদামে রয়েছে কয়েক লক্ষ টাকার বই-খাতা, দামি কম্পিউটার, ল্যাপটপ। সে সবই এখন ভাসমান অবস্থায়। তবে এবারই প্রথম নয়। প্রতিবছরই বর্ষায় ডুবে যায় এই দফতর। আর ভয়ঙ্কর পরিণতি হয় দামি দামি জিনিস পত্রের।
এই সরকারি দফতরে কাজ করেন ১২ জন কর্মী। তাঁরা কেউই ঢুকে পারেননি। সবাই রয়েছেন বাইরে বসে।কার্যত সকলেরই মাথায় হাত। এই অফিসের গুদামে থাকে লক্ষ লক্ষ টাকার বই খাতা। আছে দামী দামী কম্পিউটার ল্যাপটপ। এই পরিদর্শকের অফিস থেকে ৭৩ টি প্রাইমারি স্কুল এবং ২৯ টি হাই স্কুলের বই খাতা সরবরাহ করা হয়ে থাকে। সেই অফিসই কার্যত জলের তলায়। বইখাতার অবস্থা ভয়াবহ।
শুধু তাই নয়, এখানে জলে ভাসছে বিষাক্ত পোকামাকড় । স্থানীয়দের দাবি, দেখা মিলেছে চন্দ্রবোড়া সাপেরও। সকাল থেকে কর্মীরা বাইরে বসে রয়েছেন। কর্মীদের দাবি , ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টা জানিয়েছেন। তবে ব্যারাকপুর (১) এর বিডিও গার্গী দাস ছুটিতে থাকায় তিনি কিছু বলতে পারবেন না বলে দাবি অফিসের কর্মীদের । মমুদপুর পঞ্চায়েত সমিতির বক্তব্য, নিচু জমি। তাই একটু বেশি বৃষ্টি হলেই জল ঢুকে পড়ে। টাকা বরাদ্দ না হলে কিছু করার নেই।
অন্যদিকে, কয়েক সেকেন্ডের ঝড়ে লন্ডভন্ড হয়ে গিয়েছে এই জেলারই বসিরহাটের স্বরূপনগরের তরণীপুর গ্রাম। শুক্রবার স্থানীয়দের দাবি, ঝড়ের স্থায়িত্ব ছিল কয়েক সেকেন্ড। তার জেরেই প্রায় ৩০টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। প্রায় ৫০ বিঘা জমির ফসলেরও ক্ষতি হয়েছে। বর্ষার মরশুমে এই ক্ষতিতে মাথায় হাত কৃষকদের। অন্যদিকে, বারাসাত পুরসভার ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডের শরৎপল্লি এলাকাও জলমগ্ন।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।
আরও পড়ুন: